গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা। তবে মূল বিষয়গুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরায়েলের সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত রাখা এবং গাজার সঙ্গে ইসরায়েল সীমান্তের একটি বাফার জোন গঠনের বিষয় আলোচনায় রয়েছে।
প্রস্তাবিত চুক্তির প্রথম ধাপে প্রত্যেক নারী সেনার মুক্তির বিপরীতে ২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
ইসরায়েলের কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি থাকা প্রায় ৪০০ ফিলিস্তিনি মুক্তির জন্য প্রাথমিক তালিকায় রয়েছেন। তবে এ তালিকা নিয়ে এখনও ঐকমত্য হয়নি।
মিশর ও কাতারের তত্ত্বাবধানে গাজার বেসামরিক নাগরিকরা উত্তর দিকে ফিরে আসতে পারবেন এবং প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে আসা হবে।
১৪ মাসের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে একটি টেকনোক্র্যাট কমিটি গাজাকে তত্ত্বাবধান করবে। এ কমিটি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছাড়া সদস্যদের নিয়ে গঠিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।
অক্টোবরে একটি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর সাম্প্রতিক প্রচেষ্টায় উভয় পক্ষের সদিচ্ছা বৃদ্ধি পেয়েছে। হামাস ও অন্যান্য গোষ্ঠী জানিয়েছে, ইসরায়েল নতুন শর্ত আরোপ না করলে চুক্তি আরও সহজ হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের দক্ষিণ ইসরায়েলে আক্রমণের পর থেকে চলমান সংঘর্ষে প্রায় ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। ইসরায়েলি জিম্মিদের মধ্যে ইতোমধ্যে শতাধিক মুক্তি পেয়েছে।