BMBF News

নিউইয়র্কে ডিম নিক্ষেপে অর্থায়নের অভিযোগ

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় অর্থায়নের অভিযোগে সাবেক আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোজাম্মেল হককে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহর আদালত গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা একটি মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই আব্দুস সালাম আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে বলেন, “নিউইয়র্কে এনসিপি নেতা আখতারের ওপর ডিম নিক্ষেপের জন্য মোজাম্মেল হক বিকাশে টাকা পাঠিয়েছিলেন। আসামিরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।”

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, “আসামিরা হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার গ্রুপ ব্যবহার করে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। কবিরুল হক মুক্তি পেছন থেকে ভূমিকা পালন করেছেন।”

তিনি আরও যোগ করেন, “নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানি ও অপমান করার চেষ্টা করা হয়েছে। আখতারের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় মোজাম্মেল হকের সরাসরি সহযোগিতা ও অর্থায়ন ছিল।”
অন্যদিকে, কবিরুল হক মুক্তির আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, “আমার মক্কেলের বয়স ৬০ বছর এবং তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার ছাত্রলীগ করার বয়স নেই। জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে জেলগেটে করা যেতে পারে।”

আসামি মোজাম্মেল হকের পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় তিনি আদালতের অনুমতি নিয়ে নিজেই কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমার বয়স ৭০ বছরের বেশি। আমি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে আক্রান্ত। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে বাঁচার সুযোগ দিন।”

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর গুলশানের ফজলে রাব্বী পার্কের কাছে ছাত্রলীগের পরিচয়ে কিছু নেতাকর্মী ব্যানার হাতে বিক্ষোভ করেন এবং সড়কে ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করে। পুলিশের ভাষ্যমতে, জব্দকৃত ফোনে বিভিন্ন মেসেজিং গ্রুপে রাষ্ট্রকে ‘অস্থিতিশীল ও রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো ধ্বংস করার লক্ষ্যে’ প্রচারণার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় গুলশান থানার এসআই মাহাবুব হোসাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।