গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজ বহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে সব নৌযান আটক করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। বহরে বিভিন্ন দেশের ৪৪টি নৌযান রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ‘সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা আইনসম্মত নৌ-অবরোধ লঙ্ঘন করার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।’ খবর আল জাজিরার
ইসরায়েল বলছে, ‘নৌযানের সব যাত্রী সুস্থ আছেন। তাদের নিরাপদে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে।’ একটি জাহাজ এখনও আটক হয়নি জানিয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘জাহাজটি যদি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করে অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করে, তবে সেটিও আটক করা হবে।’
ফ্লোটিলা ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় মোট নৌযান রয়েছে ৪৪টি।
ইসরায়েলের নৌবাহিনী বুধবার রাতে কয়েকটি যুদ্ধজাহাজে এসে সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান আটক করে। বাকিগুলো আজ বৃহস্পতিবার আটক করে তারা। যেসব নৌযান আটক করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে সুইডেনের জলবায়ু ও অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ অনেকে রয়েছেন।
রয়টার্স এক ভিডিও প্রতিবদনে জানিয়েছে, সুমুদ ফ্লোটিলার আটক জাহাজগুলো আশদাদ বন্দর পৌঁছেছে। বন্দরটি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। ইসরায়েল জানিয়েছে, আটকদের প্লেনে ইউরোপ পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। এই নৌবহরে থাকা ৪৪টি নৌযানে ৫০০ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের নাগরিকসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক। গাজা অভিমুখী একটি নৌযানে (কনশেন্স ফ্লোটিলা) বাংলাদেশি অধিকারকর্মী ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলমও রয়েছেন।