জাহিদুল ইসলাম, দুমকি প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকীতে স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ কাজ শেষে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে দুমকী উপজেলা কনফারেন্স রুমে ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক কর্তৃক নির্মিত স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টারের মধ্যে পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার চরবয়েড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রামের প্রধান পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাঈদ, প্রোগ্রাম কর্মসূচী সমন্বয় অফিসের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর মো. আরিফ শহিদ, প্রকল্প পরিচালক পল নরম্যান, পবিপ্রবি’ র ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রফেসর ড.স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, দুমকী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চরবয়েড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ড. হারুন অর রশিদ হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সহ উপজেলা আ’ লীগের নেতৃবৃন্দ।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রফেসর ড.স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, এই সাইক্লোন শেল্টারের কাম-স্কুল হস্তান্তর কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হলো। এর মাধ্যমে আধুনিক সুবিধার ব্যবহার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এই প্রোগ্রামের প্রতিটি আধুনিক স্থাপনা ২৪০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দিতে পারবে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ২ হাজার মানুষ এবং ৫০০ গবাদি পশু একেকটি ভবনে আশ্রয় নিতে পারবে।
মো. আরিফ শহিদ বলেন, স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার ভবন এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা প্রতি ঘণ্টায় ২৬০ কি. মি. পর্যন্ত বায়ুপ্রবাহ (ঘূর্ণিঝড়) প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এছাড়া সেগুলোর পরিবেশ বান্ধব ডিজাইন, সৌর বিদ্যুতের মাধ্যম বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, বিকন লাইট, উন্নতমানের আসবাবপত্র ইত্যাদি সুবিধা সংযোজিত হয়েছে। এতে সুপেয় পানি সরবরাহ এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থাও আছে। এটি এই উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগের সময় পানির অভাব অনেকটাই পূরণ করবে।
দুমকী উপজেলা চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশিদ হাওলাদার বলেন, ভবনটি রক্ষণাবেক্ষণ করা সকলেরই দায়িত্ব। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের সময় এটি সবার উপকারে আসবে।
উল্লেখ্য, এই কর্মসূচির ১ম পর্বে মোট ১৭২টি স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই কর্মসূচির ২য় পর্বের অধীনে মোট ১৩টি স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টারের মধ্যে দুমকী উপজেলায় একটি।