সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের সহায়তায় দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন উৎসবের আয়োজনকে সমাজের ব্যর্থতা হিসেবে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ভবিষ্যতে যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা ছাড়াই উৎসব উদযাপন সম্ভব হয়, সে লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা পরিদর্শন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে অধ্যাপক ইউনূস এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক ইউনূস আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, “অত্যন্ত গৌরবের সঙ্গে আমরা এবারের দুর্গাপূজা পালন করতে পেরেছি। এর পেছনে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ সব সরকারি বাহিনীর প্রচেষ্টা রয়েছে। তাদের আন্তরিকতার কারণে আমরা নির্ভয়ে আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছি।”
তিনি আরও বলেন, “যদিও বাহিনীগুলোর সহায়তা আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল, এটা আসলে সমাজের ব্যর্থতার পরিচায়ক। আমাদের এমন একটি সমাজ তৈরি করতে হবে যেখানে কোনো সম্প্রদায় একা নয়, বরং সবাই মিলে আনন্দ-উৎসব উদযাপন করবে।”
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে সব নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত থাকবে। আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখিয়েছে, যেখানে সমাজের সব অংশ একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এবারের দুর্গাপূজায় দেশজুড়ে সবাই আনন্দ উপভোগ করেছে। পূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সেই আনন্দ আরও বেড়েছে। সরকার এবং জনগণ সবাই চেষ্টা করেছে যেন কোনো দুর্ঘটনা বা আতঙ্কের সৃষ্টি না হয়। ভবিষ্যতে, আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা ছাড়া নিজেরাই এ ধরনের আয়োজন করতে পারি।”