দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
ঈদের ছুটিতে হাজারও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের দৃষ্টিনন্দন লেবুখালী পায়রা সেতু। ঈদের দিনে প্রচন্ড রোদ ও গরম আবহাওয়ায় ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও আনন্দকে উপভোগ করতে পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু চিত্তবিনোদনের জন্য পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার দৃষ্টিনন্দন লেবুখালী পায়রা সেতুতে ভিড় করছেন হাজারও দর্শনার্থী। এতে যান চলাচল সচল রাখতে হিমসিম খাচ্ছে পুলিশ।
ঈদের দিন শনিবার দুপুর থেকেই পায়রা সেতু মুখর হয়ে উঠতে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী ও শ্রেণিপেশার মানুষের পদচারণায়। ঈদে বাড়তি আনন্দ আর বিনোদনের জন্য দুমকি, বাউফল, পটুয়াখালী জেলা শহর ও বরিশাল, বাকেরগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে নারী-পুরুষ এবং শিশু-কিশোররাও ভিড় করছে পায়রা সেতুতে। প্রতিদিন দর্শনার্থীদের ভিড় জমায় ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট, চটপটি-ফুসকা, ছোলা-বাদাম বিক্রেতাদের বেচা-বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় খুশি হকার ও ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ থেকে ঘুরতে আশা মরিয়ম নামেরএকজন দর্শনার্থী বলেন, কুয়াকাটা ছাড়া আমাদের এলাকায় ভালোমানের তেমন কোনো বিনোদন স্পট নেই। তবে লেবুখালী পায়রা সেতু হওয়াতে আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়েছে। এখন মন চাইলেই আমরা ঘুরতে যেতে পারি।
দুমকির আশিক নামের একজন দর্শনার্থী বলেন, ঈদের সময় রোদ প্রচন্ড গরম থাকলেও আমরা মনের আনন্দে বন্ধুরা মিলে লেবুখালী পায়রা সেতুতে ঘুরতে এসেছি। লেবুখালী পায়রা সেতু হওয়াতে একদিকে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার যেমন উন্নতি হয়েছে তেমনি আমরা একটা বিনোদন স্পট হিসেবেও পায়রা সেতু ব্যবহার করছি। পরিবেশ শান্ত রাখতে দুমকি থানার পক্ষ থেকে সেতুর দুপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
লেবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আ: সালাম বলেন, লেবুখালীর পায়রা ব্রীজ ও পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন বিনোদন স্পটে হাজার হাজার দর্শনার্থী ঘুরতে আসে পরিবেশ শান্ত রাখতে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকি।
দুমকি থানা ওসি আবুল বাসার জানান, ব্রীজে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এবং পরিবেশ শান্ত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্রিজের দুই পাশেই টহল দিচ্ছেন। আশা করি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।