BMBF News

কুমিল্লায় ৪ মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ; পুলিশ-সেনাবাহিনী মোতায়েন

কুমিল্লার হোমনায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগের জেরে চারটি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে উত্তেজিত জনতা। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আসাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহসিনকে (আলেক শাহ্‌র ছেলে) পুলিশ বুধবারই গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পরও এই হামলা ও অগ্নিসংযোগের পেছনে কোনো উসকানি রয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা গ্রামের কফিল উদ্দিন শাহ্‌র মাজারসহ মোট চারটি মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। অন্য মাজারগুলো হলো কালু শাহ্‌, হাওয়ালী শাহ্‌ (বাবুল) ও আবদু শাহ্‌র মাজার। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব মাজারকে কেন্দ্র করে নিয়মিত মাদকের আসর ও শরিয়তবিরোধী কর্মকাণ্ড চলত।

খবর পেয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, হোমনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল করিম এবং হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা উত্তেজিত জনতাকে শান্ত থাকার এবং আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানান।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান বলেন, “মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগকারীকে আমরা ঘটনার দিনই স্বল্পতম সময়ে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছি। আজকের এই ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যারা জড়িত এবং এর পেছনে কোনো উসকানি বা ইন্ধন থাকলে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।”

ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, “অভিযুক্তকে ইতোমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।”

উল্লেখ্য, বুধবার মহসিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, তবে মাজার ভাঙচুরের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি।