সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের আক্রমণ এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটিতে নতুন করে প্রায় ১১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ সংঘর্ষে নারী ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা (OCHA) এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা জানিয়েছে, গত ২৭ নভেম্বর সংঘাতের উত্তেজনা শুরুর পর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখেরও বেশি মানুষ উত্তরের কুর্দি-শাসিত এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
সংঘর্ষের উত্তেজনা বিশেষভাবে আলেপ্পোর উত্তর-পূর্বে মানবিজ শহর এবং পূর্ব সিরিয়ার দেইর এজ-জোর শহরে তীব্র আকারে লক্ষ্য করা গেছে। এসব এলাকায় আরব এবং কুর্দি সম্প্রদায়ের মধ্যে মিশ্র জনসংখ্যার কারণে সহিংসতা এবং প্রতিশোধমূলক আক্রমণের আশঙ্কা বেড়েছে।
এদিকে নতুন করে এসব বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে খাবার, আশ্রয় এবং মৌলিক চাহিদার অভাব দেখা দিয়েছে।
OCHA-এর মতে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নারী ও শিশুরা। যারা এই সহিংসতার কারণে বিপুল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
এরইমধ্যে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থা সিরিয়ার পরিস্থিতি সামাল দিতে মানবিক সাহায্য ও আন্তর্জাতিক সমর্থন আহ্বান করেছে। সংঘাত যত দীর্ঘ হবে, তত বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে।
এই নতুন বাস্তুচ্যুতি সিরিয়ার নাগরিকদের জীবনে গভীর সংকট তৈরি করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলেছে। সংঘাত বন্ধ এবং মানবিক সহায়তার দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি