দেশের অন্যতম ব্যস্ত মহাসড়ক ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড এখন পরিণত হয়েছে এক আতঙ্কের নাম। বিশেষ করে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকার ফ্লাইওভারটির বেহাল দশার কারণে এটি একটি মরণফাঁদে রূপ নিয়েছে। সম্প্রতি ফ্লাইওভারের একপাশের একটি লোহার পাত উধাও হয়ে যাওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চালক ও যাত্রীরা।
প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে এই ফ্লাইওভারটি ব্যবহার করছে। স্থানীয়দের ও নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, ফ্লাইওভারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের লোহার পাত অনুপস্থিত হয়ে গেলেও এটি মেরামত বা সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। পাতটি কোথায় গেল বা কীভাবে সরানো হলো, সে সম্পর্কেও কেউ কিছু জানে না। এর ফলে সৃষ্ট বিপজ্জনক গর্ত এড়িয়ে চলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে যানবাহনগুলো, যা বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
চালক ও যাত্রীরা জানান, রাতের বেলায় এই ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত আলোর অভাবে দূর থেকে ফ্লাইওভারের এই মারাত্মক ক্ষতি চোখে পড়ে না, ফলে দ্রুতগতির যানবাহনগুলোর জন্য এটি অতর্কিত বিপদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যেকোনো সময় চাকা ফেটে যাওয়া, নিয়ন্ত্রণ হারানো বা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার ভয়ে থাকেন এই পথে চলাচলকারী চালকরা।
এক যাত্রী বলেন, “প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ে থাকি। কখন জানি কী হয়ে যায়! এত গুরুত্বপূর্ণ একটা রাস্তার এমন অবস্থা, অথচ কারো কোনো মাথাব্যথা নেই।”
এই অব্যবস্থাপনার দায় কে নেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মনে। ফ্লাইওভারটির সংস্কার কবে হবে বা আদৌ কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে কি না, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। অনতিবিলম্বে ফ্লাইওভারটি মেরামত করে যানবাহন চলাচলের জন্য নিরাপদ করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। পাশাপাশি, এই পথে চলাচলকারী, বিশেষ করে রাতের বেলায় যাতায়াতকারী যানবাহনগুলোকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।