মেহেদী হাসান, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
দুমকিতে মাহফিল কমিটিতে নাম না রাখায় রাস্তা বন্ধ করে দিলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৮টায় উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামে মুন্সির বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামের মরহুম আব্দুল গনি মাওলানার পুত্র আলহাজ্ব মাওলানা মো: নেছার উদ্দিন নোমান প্রতিষ্ঠিত পূর্ব কার্তিকপাশা কারিমিয়া মাদ্রাসা মাঠে মাওলানা মোঃ আবুল বাশার বুখারীর ওয়াজ মাহফিল কমিটিতে মুন্সি বাড়ির মো: সোবাহান মুন্সীর নাম না রাখায় মুন্সিবাড়ির সামনের রাস্তা মাহফিলের মালামাল নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বন্ধ করে দিলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়।
আহতরা হলেন মাহফিল কমিটির পক্ষে সবুজ খলিফা (৩৫) বসার হাওলাদার(২৫) জুয়েল খান (২৫)সালাউদ্দিন বাপ্পি (৩৫)বশির (২৪) তাদেরকে দূমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার পর গুরুতর আহত বসার হাওলাদার, জুয়েল খান ও বশির কে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অপরপক্ষের আহতরা হলেন, সোবাহান মুন্সী (৭০),সুলতান মুন্সি (৬০),শহীদ মুন্সি (৫০),মোশারেফ মুন্সি (৫০) ,ইলিয়াস মুন্সী(৩০) তাদেরকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর আজ সকালে সোবাহান মুন্সি ও মোশারেফ মুন্সিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে হয়েছে।
মাওলানা নেছার উদ্দিন নোমান বলেন, শনিবার বিকেলে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে মাহফিল কমিটিতে মুন্সিবাড়ির কোন লোককে না রাখায় মাহফিল আয়োজনের কোন মালামাল যাতে না নিয়ে যেতে পারি সেজন্য তাদের বাড়ির সামনের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে ইলিয়াস মুন্সি, শহীদ মুন্সি, সুলতান মুন্সি, আকাশ মুন্সি, বাদশা মুন্সির নেতৃত্বে মাহফিল আয়োজকদের উপর হামলা চালায়।
মো: জাহাঙ্গীর মুন্সি বলেন, উক্ত মাদ্রাসায় প্রতিবছর মাহফিলে সোবহান মুন্সিকে সভাপতি করা হতো, এবছর কমিটিতে নাম না রাখায় মুন্সিবাড়ি লোকেরা রাস্তা বন্ধ করে দেয়, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহফিল কমিটির সত্তার মহরী, খলিল শরীফ, আকবর মৃধ্যা, সালাউদ্দিন বাপ্পির নেতৃত্বে মুন্সিবাড়ির লোকজনের উপর হামলা চালায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিল শরীফ বলেন, মুন্সিবাড়ির সোবহান মুন্সিকে মাহফিল কমিটিতে না রাখায় তারা রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে হামলা চালায় এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
অভিযুক্ত ইলিয়াস মুন্সী মাহফিলের বিষয়টি অস্বীকার করে পূর্ব শত্রুতা জের হিসেবে এই হামলা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন ঘটনা শুনেছি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।