মেহেদী হাসান , পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকীতে ঘুমিয়ে থাকা ৬ মাস বয়সী জোহা নামের এক মেয়ে শিশুকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইশরাত জাহান নুরুন্নাহার(৩২) নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার(৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার চরবয়েড়া গ্রামের জয়নাল খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
শিশু জোহা উপজেলার আজিজ আহম্মেদ কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের প্রভাষক মো. আল আমিনের ২য় স্ত্রী মোসাঃ জোলেখা’র মেয়ে।
অভিযোগ করে শিশুর নানী বিউটি বেগম বলেন, ঘরের পেছনে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এসময় সামনের দরজা খোলা পেয়ে বোরকা পরিহিত এক মহিলা ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত জোহাকে কোলে নেয়। এ ঘটনা টের পেয়ে আমার মেয়ে জোলেখা আক্তার ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
এদিকে শিশুটির বাবা আল আমিন হাওলাদার জানান, ওই মহিলা আমার তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী।তার সাথে আমার কোন ধরনের যোগাযোগ নেই। সে আমার মাকে মেরেছে। এছাড়াও সে একজন অতি ধূর্ত, চরম মিথ্যাবাদী ও চরিত্রহীনা। কোর্টের মাধ্যমে তার সকল দেনাপাওনা পরিশোধ করেছি।
তিনি আরও জানান, প্রতি মাসে ব্যাংকের মাধ্যমে ছেলেদের ভরণ পোষণ দেন। মূলত তাকে তালাক দেয়ার পর থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হয়রানি করতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছেন নুরুন্নাহার।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইশরাত জাহান নুরুন্নাহার বলেন, আমার স্বামী আল-আমিন আমাকে মিমাংসার কথা বলে এ রাস্তায় নিয়ে এসেছেন। যদিও একপর্যায়ে সাংবাদিকদের সকল প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেন নি তিনি।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাজাখালী গ্রামের আনোয়ার হোসেন খান ওরফে আয়নাল খানের মেয়ে ইশরাত জাহান নুরুন্নাহারের সাথে ২০০৯ সালে চরবয়েড়া গ্রামের মৃত. মোহাম্মাদ হাওলাদারের ছেলে আল আমিন হাওলাদারের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। পরে বিভিন্ন কলহ ও তালাক দেয়াকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সাল থেকে এযাবৎ ডজনখানেক মামলা হয়। একপর্যায়ে আল আমিন হাওলাদার ২০২১ সালে মোসাঃ জোলেখা নামের অপর এক মহিলাকে ২য় বিয়ে করেন।
এ সম্পর্কে দুমকী থানার এস আই দেলোয়ার হোসেন বলেন, আল আমিনের ২য় স্ত্রী দাবী করেন শিশু চুরি করতে নুরুন্নাহার ওই বাড়িতে গিয়েছেন। কিন্তু সেখানে তেমন কোন স্বাক্ষী সমেত পাইনি। তবে ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে।