মেহেদী হাসান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বহুল প্রতীক্ষিত “বীর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন” এর নির্মাণ কাজ।
জমি অধিগ্রহণে জটিলতার কারণে বেশ কয়েক দফা পিছিয়ে অবশেষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তার প্রচেষ্টায় খাসজমি খুঁজে বের করে স্হান নির্ধারণ করে তার উপরে নির্মিত হচ্ছে দুমকী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের স্হায়ী ঠিকানা “উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন”।
বর্তমানে দুমকীতে ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা ১৩৪ জন। এঁর মধ্যে ৫৪ জন জীবিত আছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায়
উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর মৌজার জনতা কলেজের উত্তর দিকে এলজিইডি রাস্তার পূর্ব পাশে ২৭শতাংশ খাসজমির সাড়ে ৯ শতাংশের উপর ৩কোটি ৫০ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ৪ তলা বিশিষ্ট “উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন”।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায়
দুমকী উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের তত্বাবধানে মোঃ ইউনুচ এন্ড ব্রাদার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত ৫/১১/২৩ইং কার্যাদেশ পাওয়ার পর কাজ শুরু করেন এবং আগামী ২৮/০৪/২৪ ইং তারিখে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ভবনের ৩য় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ৬টি করে মোট ১২টি দোকানের জন্য নির্ধারিত স্টলের কাজ শেষ পর্যায়ে। তৃতীয় তলায় আধুনিক মানের কমিউনিটি সেন্টার এবং ৪র্থ তলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অফিস কক্ষ ও সভাকক্ষ নির্মাণ করা হবে। ৪র্থ তলা পর্যন্ত সিড়ি কাজ ও চলমান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মোঃ আবুল বাশার বলেন, আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই শতভাগ কাজ সম্পন্ন করা হবে।
এব্যাপারে দুমকী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ গোলাম মর্তুজা বলেন, চার তলা বিশিষ্ট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দুমকী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি আরো বলেন আমি নিয়মিত ভবন নির্মাণ কাজের খোঁজ খবর নিচ্ছি এবং কাজের মান খুব ভালো।
জানতে চাইলে দুমকী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশীদ হাওলাদার বলেন, দীর্ঘ বছর যাবৎ স্হান নির্ধারণের অভাবে দুমকি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। আমার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দুমকি উপজেলা পরিষদের সন্নিকটে স্থান নির্ধারণ করা হয় এবং উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে যে ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন তিনি কাজ করছেন। কাজ শুরু করার সময় নকশায় কিছু ত্রুটি দেখা দিলে প্রকল্প পরিচালকের সাথে ঢাকায় যোগাযোগ করে তা সংশোধন করে দিয়েছি। প্রকৌশলীরা ডিজাইন অনুসারে কাজের গুনগত মান বজায় রেখে কাজ করছেন বলে আশা করি।
এব্যাপারে দুমকী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাদ জগলুল ফারুক বলেন, আমি রিতিমত কাজের মনিটরিং করছি, কাজের গুনগত মান ভালো হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভবনের ৬০ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশাকরছি নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।