বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে ধারণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সালের শেষ দিকে বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সোমবার সকালে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনের সময় নির্ভর করছে কতটুকু রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করা যায় তার ওপর। যদি কিছু ন্যূনতম সংস্কার এবং নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচন করতে হয়, তবে ২০২৫ সালের শেষ দিকে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। আর যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া ও সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার করতে হয়, তবে আরও ছয় মাস সময় লাগতে পারে।”
নির্বাচন সামনে রেখে একটি ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ছয়টি সংস্কার কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আসছে জানুয়ারিতে এ কমিশন কাজ শুরু করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আমি নিজেই এ কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করব এবং অধ্যাপক আলী রিয়াজ কমিশনের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।”
জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশনের কাজ হবে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো চিহ্নিত করা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করা।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, প্রথম পর্যায়ে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণ করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “সংস্কার এবং ঐকমত্যের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করতে আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”
বিজয় দিবসের সকালে এই ভাষণে তিনি জাতিকে পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।