জুলাই-অগাস্টে একবার বৃদ্ধির পর, এখন আবার চালের দাম বাড়ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা। ব্যবসায়ীরা কেউ বলছেন, বন্যার কারণে দাম বাড়ছে, আবার কেউ বলছেন একটি চক্র কারসাজি করছে। তাদের মতে, চালের গুদামে অভিযান চালানো প্রয়োজন।
সরকার বেসরকারি খাতে চাল আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে, যার অংশ হিসেবে আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে।
বাবুবাজারের অন্তু-সেন্টু রাইস এজেন্সির বিক্রেতা আব্দুল জলিল জানান, এক সপ্তাহে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। ব্রি ২৮ চালে ৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মিনিকেট ও নাজিরশাইলের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও মোট চালের দাম বেড়েছে।
কৃষি মার্কেটের বিক্রেতা জালাল উদ্দিন বলেন, বন্যার প্রভাব থাকলেও বড় কোম্পানিগুলোর মজুদ রাখার কারণে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারের উচিত গুদামে অভিযান চালানো।
কারওয়ান বাজারের ঢাকার রাইস এজেন্সির বিক্রেতা সায়েম জানান, ব্রি ২৮ চালের দাম ৫৬ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকায় পৌঁছেছে। তার মতে, আগামী মাসে নতুন ধান এলে দাম কমে আসবে।
বাংলাদেশ রাইস মিল মালিক সমিতির প্রচার সম্পাদক জয়নাল আবেদিন বলেন, কুষ্টিয়ার মোকামে ব্রি-২৮ চালের দাম প্রতি বস্তায় ৫০ টাকা বেড়েছে। ঢাকার বাজারে দাম বাড়ানোর কোনো কারণ তিনি দেখছেন না।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলিম আখতার খান বলেন, “আমরা সবসময় দাম কমানোর জন্য তৎপর আছি। কেউ অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রোববার চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে এনবিআর। নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে, এবং আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। এনবিআর বলছে, এই শুল্ক-কর কমানোয় আমদানি ব্যয় কেজি প্রতি ১৪ টাকা ৪০ পয়সা কমবে।