BMBF News

বগা ফেরিতে বকশিশ বাণিজ্যে নাজেহাল পরিবহন শ্রমিক

১৫
কামাল হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি:

 

 

পটুয়াখালীর লেবুখালী বাউফল সড়কের বগা ফেরিতে ইজারা বাতিল হলেও বকশিশের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন ফেরিতে যাএী পরিবহন থেকে বকশিশ এর নামে হাজার হাজার টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ফেরী পরিচালনার দায়িত্বে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চার পাঁচ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকলেও অতিরিক্ত ১০জন স্থানীয় লোকজনকে দায়িত্বে বসানো হয়েছে। তারা সিন্ডিকেট করে বকশিশ আদায় করছে। ফেরিতে দায়িত্বে থাকা কর্মচারিদের মধ্যে আছেন কার্য সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান, ওয়ার্ক সুপারভাইজার এনামুল, গ্রীজার সেলিম, এবং শ্রমিক সাব্বির। স্থানীয় লোকদের নিয়োগ দিয়ে বকশিশ আদায়কারী সিন্ডিকেট তৈরী করেছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ১০০টি গাড়ি যাএী পরিবহন থেকে ৫০ টাকা করে আদায় হচ্ছে ৫ হাজার টাকা। ৫০টি ট্রাক থেকে ৫০ টাকা করে আদায় হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা। মিনিবাস, পিকআপ, কভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অটো ও টমটমসহ সব মিলে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৬ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা উঠছে।
পরিবহনের নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত ৫০/২০ টাকা বকশিশ বাণিজ্যে রীতিমতো অতিষ্ঠ পরিবহনের চালক ও সুপারভাইজাররা। বাউফল-ঢাকা রুটের পরিবহন সুপারভাইজার কবির হোসেন‘র অভিযোগ, বকশিশ না দিলে ফেরীর লোকজনের হাতে নাজেহাল হতে হয়। পিকআপ চালক মোশাররফ বলেন, ফেরীতে ওঠলেই বকশিশ আদায়কারী শ্রমিকরা গাড়ীর সামনে দাড়িয়ে বকশিশ দাবি করেন। অতিরিক্ত ৫০টাকা দিতে না চাইলে কয়েকজন তেড়ে আসে। নাজেহালের ভয়ে দূরদূরান্তের গাড়ী চালকরা তাদের দাবিকৃত বকশিশ দিতে বাধ্য হন। একই অভিযোগ স্থানীয় মোটরসাইকেল ও অটো চালকদের । প্রতিটি মোটর সাইকেলে অটোর সরকারি ভাড়ার রেট পাচ থাকলে ১০/২০ টাকা হারে নিচ্ছে টোলের সাথে বকশিশের নামে অতিরিক্ত টাকা যোগ করে টাকা আদায় করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, সরকারি নির্ধারিত ভাড়া থাকলেও বকশিশের নামে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ ও পরিবহন শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ।
পটুয়াখালী সওজ‘র নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জামিল হোসেন জনবল সংকটের কারণে স্থানীয় ৭/৮জন লোক দিয়ে টোল কালেকশনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নির্ধারিত ফেরী ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কথা নয়। বকশিশ বাণিজ্য হয়ে থাকলে অবশ্যই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।