BMBF News

ভিন্ন বাস্তবতায় বর্ণহীন আনুষ্ঠানিকতায় মতিয়ার বিদায়

ভিন্ন বাস্তবতায় বর্ণহীন আনুষ্ঠানিকতায় শেষ বিদায় নিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। তাকে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে স্মরণ করা হবে।

দুই দফা জানাজার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্বামী বজলুর রহমানের কবরে সমাহিত করা হয় মুক্তিযোদ্ধা মতিয়া চৌধুরীকে। তবে দাফনের আগে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়নি। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় জানাজায় অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীর সংখ্যা ছিল কম, এবং দলের শীর্ষ নেতাদের কাউকে জানাজায় দেখা যায়নি।

মতিয়া চৌধুরী বুধবার ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ রমনায় বাসায় নিয়ে যাওয়া হলে ভক্ত, অনুসারী ও স্বজনরা সেখানে ভিড় করেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয় দলের এই প্রবীণ নেতার প্রতি।

জোহরের নামাজের পর গুলশানের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। দুপুরে তাকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

শেরপুর-২ আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী তিনবার কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১৩ সালে সংসদ উপনেতার দায়িত্ব পান। ১৯৪২ সালে পিরোজপুরে জন্ম নেওয়া এই নেত্রী একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনে মতিয়া চৌধুরী বহুবার কারাগারে গিয়েছেন এবং ‘দেয়াল দিয়ে ঘেরা’ নামে একটি বই লিখেছেন।

বিদায়বেলায় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়নি। জানাজা শেষে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। মতিয়া চৌধুরীর ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তারা গার্ড অব অনার পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করলেও শেষ পর্যন্ত কেউ আসেনি।

দারুস সালাম থানার ওসি রাকির-উল-হোসেন জানান, “আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা গার্ড অব অনার দিই, কিন্তু উনার বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি।”