BMBF News

মির্জাপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ

৮২
জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল  :

 

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গত শুক্রবার সকালে ব্যবসায়ী মামুন মিয়া ও তার দুই ছেলে কাউসার মিয়া এবং এখলাস মিয়ার ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। আহতরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে শনিবার স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। আহত মামুন মিয়ার শ্যালক ইউনুস আলী বাদি হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় আলী হোসেন সিকদার (৫৫), আলী হোসেনে ছেলে অপু সিকদার (২৮), বাবুল মিয়ার ছেলে মিথিল (৩০), সোনা (৩৫), মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মহসিন সিকদার (৪৫) ও রাশেদ সিকদার (৪০), সঠিক সিকদারের ছেলে সীমান্ত (১৯) এবং আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে শনিবার রাতে পুলিশ দুই আসামী রাশেদ সিকদার ও অপু সিকদারকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা করে। এ বিষয়ে পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ব্যবসায়ী মামুন মিয়া ও তার দুই ছেলেকে মেরে গুরুত্বর জখম করা হলেও পুলিশ এই বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়, এবং দুই আসামীকে শুধু হাতাহাতি ও মারামারির গতানুগতিক এক মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ বলেন, মামলার ধারা অনুযায়ী পুলিশ কাজ করছে। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত শুক্রবার (১৯ মে) আনুমানিক সকাল ১০টায় মানিকগঞ্জ থেকে পিকআপ যোগে কাঁচামাল আনা হয়। স্থানীয় বাজারে মজনু ট্রেডার্সের সমনে গাড়ি থামিয়ে সেই কাঁচামাল নামানোর সময় আলী হোসেন সিকদারের ছেলে অপু সিকদার ও আরো দুই এক জনকে সাথে নিয়ে মামুন মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়াকে গাড়ি সরানোর জন্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। গালাগাল করতে নিষেধ করলে অপু ও তার সহযোগীরা কাউসারকে এলোপাথারি কিল ঘুষি মারতে থাকে। তখন কাউসার ও তার বাবা মামুন মিয়ার পরিহিত কাপড় ছিড়ে ফেলা হয়। একই তারিখ বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় মামুন মিয়া মির্জাপুর বাজারস্থ রবিনের মুরগীর দোকানের সামনে গেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপরোক্ত সকল বিবাদীরা একসঙ্গে হয়ে মামুন মিয়া ও তার দুই ছেলেকে লাঠি-সোটা দিয়ে এলোপাথারি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে ফেলে। ২নং বিবাদীর হাতে থাকা লাঠি দিয়ে মামুন মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় আঘাত করা হয়। পরে তার ডকা-চিৎকার শুনে তার দুই ছেলে কাউসার মিয়া ও এখলাছ মিয়া এগিয়ে গেলে তাদেররকেও এলোপাথারি মারপিট করা হয়।
মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ রয়েছে, বিবাদীদের মারপিটের ফলে মালামাল ক্রয়ের ৬লাখ টাকাসহ একটি ব্যাগ নিয়ে যায় তাদের মধ্য থেকে কেউ একজন। সকল বিবাদীরা মামুন মিয়া ও তার দুই ছেলের মৃত্যু নিশ্চিত করতে মারতে থাকে। পরে চিৎকার করলে বিবাদী পক্ষ মামুন মিয়ার পরিবারের সকল সদস্যকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে কিছু লোকজন মামুন মিয়া এবং তার দুই ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদিকে দ্রুত সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছে বাদী পক্ষের পরিবারের সদস্যরা।