রাজধানী ঢাকা, মিরপুর-১০ থেকে নিয়মিত মেট্রোরেলে যাতায়াতকারী সেলিনা ফেরদৌস জানান, প্রথম দিকে সাধারণ বগিতে উঠলেও এখন শুধুমাত্র নারীদের জন্য নির্ধারিত বগিতে ওঠেন। তবে সেখানে গাদাগাদি ভিড় এবং অসুবিধার সম্মুখীন হন তিনি। সাধারণ বগিতে উঠলে পুরুষ যাত্রীদের অসহযোগিতার শিকার হতে হয়, সিট ফাঁকা থাকলেও বসতে দেওয়া হয় না এবং বিভিন্ন ধরনের হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়।
নারীদের জন্য আরও বগি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সেলিনা বলেন, “পুরুষরা ধরেই নেয়, নারীদের জন্য নির্ধারিত বগিগুলোর আসন তাদের। অনেক সময় আমাদের অভিযোগ জানালে, অসহযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। আমি চাই, অন্তত দুইটি নারী বগি হোক। আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, তাই নারীদের জন্য আরও সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।”
মেট্রোরেলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মিরপুর ১০ নম্বরের বাসিন্দা প্রজ্ঞা মণি সাহা বলেন, “সাধারণ বগিতে নারীদের চলাচলে অনেক কষ্ট হয়, আর নারী বগিতে গিয়ে ঠেলাঠেলি করতে হয়। ভিড়ের কারণে শরীরের ব্যথা হয়। আমাদের জন্য আরও একাধিক নারী বগি থাকা উচিত।”
ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর যানজটের সমস্যা কিছুটা কমেছে, তবে পিক আওয়ারে নারীরা ভীষণ ভোগান্তিতে পড়ছেন। গত বুধবার, মেট্রোরেলে নারী যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত বগিতে পুরুষ যাত্রীদের যৌন নিপীড়ন করার ঘটনাও ঘটেছে, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়।
এদিকে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ জানায়, নারীদের জন্য আরও বগি বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। তবে, এর জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে।
মহিলা পরিষদের অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর জনা গোস্বামী বলেন, “মেট্রোরেল নারীদের জন্য একটি আশীর্বাদ হলেও, আমাদের চলাচল আরও সহজ হতে পারে যদি আরও একটি নারী বগি যুক্ত করা হয়।”