BMBF News

রাজপথে সেনাবাহিনী, আন্দোলন ‘বেহাত’ বলছে জেন-জিরা

টানা দুদিনের সহিংসতায় নেপালে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। এছাড়া, দেশজুড়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে বলে জানিয়েছে সেনা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, নেপালের আন্দোলনে সুযোগসন্ধানীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারীরা। চলমান সহিংসতা ও লুটপাটের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করেছেন তারা।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি নেপাল জানিয়েছে, বিশৃঙ্খলার সুযোগে কাঠমান্ডুর আশপাশের কারাগার থেকে হাজারো বন্দি পালিয়ে গেছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় বাংকেতে একটি কিশোর সংশোধনাগার থেকে পালাতে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে পাঁচজন মারা যায়। পুরো আন্দোলনে নিহতের মোট সংখ্যা ২০ জন ছাড়িয়েছে।

বুধবার কাঠমান্ডুর রাস্তাঘাট শান্ত দেখা গেলেও পুড়ে যাওয়া কিছু ভবন থেকে ধোঁয়া উড়ছিল। সড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল পোড়া যানবাহন। সহিংসতা ও ভাঙচুরের চিত্র এখন ক্ষোভের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

সহিংসতা ও ভাঙচুরে জড়িতদের শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেনাবাহিনী। এ পর্যন্ত সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৭ জনকে গ্রেফতার এবং ৩১টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। শিক্ষার্থী নেতারা নতুন দাবির খসড়া তালিকা তৈরি করছেন বলে জানিয়েছেন তাদের এক প্রতিনিধি।

তবে অনেক বিক্ষোভকারী মনে করছেন, আন্দোলন অনুপ্রবেশকারীদের হাতে চলে যাচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নেপালে তরুণদের নেতৃত্বে বিক্ষোভের লক্ষ্য ছিল জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও দুর্নীতির অবসান নিশ্চিত করা। আন্দোলন হয়েছিল শান্তিপূর্ণ নাগরিক অংশগ্রহণের নীতির ওপর ভিত্তি করে এবং সেভাবেই থাকবে।

প্রায় একই অভিযোগ তুলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিভিন্ন ব্যক্তি ও অরাজক গোষ্ঠী আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে সরকারি-বেসরকারি সম্পদ ধ্বংস করছে। যারা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কাজ করছে, আমাদের মূল কাজ এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে আনা।

তথ্যসূত্র: বিবিসি