বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ এবং বিদ্যমান সংবিধানকে নতুন করে লেখাসহ একাধিক বিষয়ে রূপরেখা দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেল ৫ টায় শাহবাগ থানায় বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগের ৩৯১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আন্দোলনের সমম্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমম্বয়ক আব্দুল কাদের, মাহিন সরকার, হামজা মাহবুবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মাসউদ বলেন, “দ্রুত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে রূপরেখা দেওয়া হবে। সেখানে বাংলাদেশের রাজনীতি কীভাবে হবে, ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ এবং ‘৭২ সালের ফ্যাসিবাদি সংবিধানকে বাতিল করে একটি নতুন সংবিধান লেখার বিষয়ে আলোচনা থাকবে। আমাদের বিপ্লব শেষ হয়নি। নতুন সংবিধান রচনার মাধ্যমে আমাদের বিপ্লব সম্পন্ন হবে।”
মামলার বিষয়ে আব্দুল হান্নান মাসউদ জানান, “আমরা দেরি করেছি, কিন্তু ছেড়ে দেইনি। আজ যে মামলা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এটি সারাদেশে চলমান থাকবে। প্রতিটি জেলা, উপজেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে মামলা দেওয়া হবে। তারা ঢাকার রাজপথে স্লোগান দেওয়ার সাহস করছে। তাদের প্রতিহত করতে ছাত্রসমাজ প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। অতিদ্রুত ছাত্রলীগ নেতাদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে রেড অ্যালার্ট জারি করতে হবে। ভবিষ্যতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগসহ যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত, তারা যেন এদেশের মাটি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে না পারে, সেজন্য দেশের মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি।”