গাজীপুরের শ্রীপুরে যুবদল নেতার নেতৃত্বে অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের এমসি বাজারে, যেখানে মাথায় লাল কাপড় বাঁধা এবং হাতে ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যুবদল নেতা মহড়ার আয়োজন করেন। মহড়ার পরপরই অস্ত্রধারীরা বাজারে গিয়ে দোকানদারদের জিম্মি করে টাকা-পয়সা লুটপাট করে। মুহূর্তেই এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এবং তা নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন অভিযুক্ত যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু (৩৫), যিনি তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের নূরু ব্যাপারীর ছেলে। তিনি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং তেলিহাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সদস্যসচিব। একটি ভিডিওতে শোনা যায়, জাহাঙ্গীর আলম তার সহযোগীদের নিয়ে বাজারে উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘এমসি বাজারটি আমি আমার নিয়ন্ত্রণে নিব। আজকের পর থেকে, যত দিন আমি বেঁচে থাকব, এই বাজারের খাজনা আমি উঠাবো। যদি কেউ বাধা দেয়, তাহলে ভয়াবহ পরিণতি হবে।’
ভিডিওতে দেখা যায়, তার চারপাশে শতাধিক যুবক লাল কাপড় পরিধান করে এবং হাতে রাম দা (ধারালো দেশীয় অস্ত্র) নিয়ে মহড়া দিচ্ছে।
বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী শহীদ বলেন, ‘হঠাৎ করে জাহাঙ্গীর লাল কাপড় পরে এসে ভয় দেখিয়ে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নিল। অনেক দোকানি পালিয়ে গেল।’ অপর এক দোকানি সুরুজ আলী জানান, ‘রাম দা দেখিয়ে লুটপাট করে নিয়েছে। অনেকেই দোকান ফেলে পালিয়েছে।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু আমাদের দলটির সদস্য হলেও সশস্ত্র মহড়ার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমাদের দল এমন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নয় এবং আমরা এর সমর্থন করি না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানিয়েছেন, বিষয়টি তাদের নজরে রয়েছে এবং পুলিশ টিমগুলোর মাধ্যমে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।