ইসরাইলি বাহিনী সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়ে প্রায় ৫০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে এবং ১,৮০০টি বোমা নিক্ষেপ করেছে। সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছে ইসরাইলি সূত্র। আল-মায়াদিন এ তথ্য জানিয়েছে।
সিরিয়ার সরকারি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী দামেস্কের কাছে মাউন্ট কাসিয়োন এবং দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি বাহিনীর হামলার তীব্রতা ছিল উল্লেখযোগ্য। এছাড়া কুনেইত্রা প্রদেশের আল-হুরিয়া শহরে ইসরাইলি সেনারা প্রবেশ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং গোলান উপত্যকায় দখল সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে।
বুধবার রাতে রুয়াইহিনা ও উম্ম বতনা শহরে অভিযান চালিয়ে স্থানীয়দের ওপর হামলা এবং তাদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এই তৎপরতা তাদের ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ তৈরির পরিকল্পনার অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরাইলের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সিরিয়া এবং একাধিক আঞ্চলিক শক্তি। জাতিসংঘের এক সূত্র জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী গোলান উপত্যকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গোলান উপত্যকাকে ইসরাইলের চিরস্থায়ী অংশ হিসেবে উল্লেখ করে ২০১৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের কথা স্মরণ করেছেন। যদিও জাতিসংঘসহ অধিকাংশ দেশ গোলানকে সিরিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন চলছে।” সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে ইসরাইলি সেনারা দামেস্ক থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে কাতানা শহরে অবস্থান নিয়েছে।
এই আক্রমণ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং দীর্ঘস্থায়ী সংকটের শঙ্কা তৈরি করেছে। সিরিয়ার জনগণ ও আঞ্চলিক শক্তিগুলো ইসরাইলের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।