BMBF News

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ এর উদ্যোগে ৭ দফা দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

১১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আমায় ঐক্য পরিষদ এর উদ্যোগে ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ ০১ এপ্রিল ২০২৩ মি. রোজ শনিবার, সকাল ১০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব, তফাজল হোসেন মানিক মিয়া হল, ঢাকার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বকবা পাঠ এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জনাব মোঃ তারেছ আলী। সাংবাদিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জনাব শাহ মোঃ মামুন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশনের
সভাপতি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ লুৎফর রহমান, সভাপতি ১১-২০ ব্লাডের সরকারি চাকুরিটারিদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম, সর্বজনাব মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, সভাপতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, মোঃ ইব্রাহিম খলিল, সভাপতি, তৃতীয় শ্রেণী সরকারী কর্মচারী সমিতি, মোঃ আনিসুর রহমান, সভাপতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমাজ, সাইফুল ইসলাম, সভাপতি, পোষ্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন, খন্দকার মহিউদ্দিন আহমেদ, সভাপতি আস্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি ফেডারেশন, নাসির উদ্দিন হাওলাদার, আহবায়ক, বাংলাদেশ ১৭-২০ গ্রেড কর্মচারি সমিতি, জনাব মোঃ জিয়াউল হক, সভাপতি, বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ, খায়ের আহম্মেদ মজুমদার, সমস্যাক, মোঃ মাহমুদুল হাসান, সমন্বয়ক, মোঃ গাজিউল ইসলাম, সমন্বয়ক মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল, সমন্বয়ক, আসমা খানম, সমন্ব্যাক, মোঃ হেলাল উদ্দিন, সমন্বয়ক, নুরে আলম, সদস্য সচিব, বাংলাদেশ ১৫-২০ কর্মচারি সমিতি, মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, মুসা আহম্মেদ, সমন্বয়ক, মোঃ আব্দুল্লাহ, সমন্বয়ক, যুগ্ম সমন্যাক আফরোজ আলী মোল্যা, মোজহারুল ইসলাম, মোঃ ফরিদ আহমেদ সরদার, কায়সার হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ তারিকুল ইসলাম, কামরুজ্জামান উজ্জ্বল, সরোয়ার হোসেন তালুকদার, মাহবুব হোসেন তালুকদার, আরিফুল ইসলাম, মৌসুমী প্রধান, আশিকুল ইসলাম আশফাকুল আশেকীন, মোঃ আব্দুল হালিম, গাজী সালাউদ্দিন, শাহীনুর রহমান, আব্দুল্যা আল মামুন, মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ শহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, বেলাল হোসেন, আতাউর রহমানসহ কেন্দ্রীয় কমিটি অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

মুখ্য সমন্বয়কসহ সমন্ধ্যাকবৃন্দ বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী দাবী আদায় ঐক্য পরিষদের নিম্নবর্ণিত ৭ দফা দাবীবাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বানানেত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রজাতন্ত্রের সকল স্তরের কর্মচারীদের প্রতিনিধিগণ সংবাদ সম্মেলনে কর্মচারীদের মনের পুঞ্জিভূত অসন্তোষ ও বিরাজিত ক্ষোভ নিরসনসহ ৭ দফা দাবী দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।

৭ দফা দাবী সহ নিরূপঃ

১। পে-কমিশন গঠন পূর্বক ১ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তবর্তীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতে হবে।

২।১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।

৩। সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদনাম পরিবর্তনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীত করণ এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করতে হবে।

৪। টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পূণর্বহাল সহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনঃবহল, বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন
প্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

৫। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে

উন্নীতকরণ ও অধস্তন আদালতের কর্মচারিদের বিচার বিভাগীয় সহায়ক কর্মচারি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

৬। আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। ব্লক পোষ্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর বেতন স্কেলের উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।

৭ । বাজারমূল্যের উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুখ্য সমন্বয় বলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বৈষম্য মেনে নেয়া যায় না। দ্রব্যমূল্যের চরম উর্দ্ধোগতি ও পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার প্রান্ত বেতনের অর্থ দিয়ে মাসের ১৫ দিনও চলা সম্ভব হয় না। ৫ বছর পর পর পে-স্কেল প্রদানের প্রথা চালু থাকলেও ২০১৫ সালের ৮ম পে-খেল প্রদানের পর দীর্ঘ ৭ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে এ পর্যায়ে কর্মচারিদের কম পে-স্কেলসহ ভাতাদির অসংগতি দূর করা প্রত্যাশিত। অনতিবিলম্বে সকল দপ্তর অধিদপ্তরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন করে বেতন ও পদবী বৈষম্য দুর করে পূর্বের ন্যায় টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহলসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এর পরে তিনি দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে নিম্ন উল্লেখিত কর্মসূচি ঘোষণা করেন ।

আগামী ০৭ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ রোজ শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকার সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। এর পরেও যদি দাবি সমূহের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে আলোচনার সুযোগ না দেন এবং দাবি বাস্তবায়িত না হলে পূর্বের ঘোষণানুযায়ী স্থগিত হওয়া মহাসমাবেশ আগামী ১২ মে ২০২৩ তারিখ রোজ শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হবে। তার পরেও দাবি বাস্তবায়িত না হলে পরবর্তীতে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে।

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন ১১ থেকে ২০ গ্রেডের বঞ্চিত লক্ষ লক্ষ কর্মচারীদের দাবীর বিষয় বিবেচনা না করে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব নয়। এসকল দাবী বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, সাংবাদিক সম্মেলন, মানববন্ধনসহ বিভিন্নভাবে আবেদন নিবেদন করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য কর্তৃক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য মহান জাতীয় সংসদে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তদুপরি সরকারের পক্ষ থেকে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। আজকের এই সংবাদ সম্মেলন থেকে ৭ দফা দাবীসমূহ মেনে নেওয়ার জন্য তিনি মানবতার মা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবারো জোর দাবী জানিয়ে সবার ধন্যবাদ জ্ঞাপন পূর্বক এবং দাবি সমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে ঘোষিত কর্মসূচী বাস্তবায়ন করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে সম্মেলনের সমাতি ঘোষনা করেন।