নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উসকানি দিচ্ছে। আমরা রাষ্ট্রদূতকে আশ্বাস দিচ্ছি, বাংলাদেশে নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। সবাই এ দেশে নিরাপদ।’
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আওয়ামী লীগের ‘বিজয় শোভাযাত্রা’ উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আন্দোলনেও খেলবে, নির্বাচনেও খেলবে। আপনারা প্রস্তুত হন পরাজয়বরণ করার জন্য।’
শোভাযাত্রার আগে এ সমাবেশে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফও। তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে ঘোষণা দিতে চাই, স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তাদের রুখে দিতে আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর। বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করার সংগ্রাম চলবে।
আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনীতির নামে যারা পাকিস্তানের দোসর হয়ে কাজ করছেন, তাদের কবর রচনা করা হবে। দেশবিরোধী কোনো অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।
বিকেলে রাজধানীর রমনা থেকে বিশাল বিজয় শোভাযাত্রা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ঢাকায় আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রায় নেতাকর্মীদের ঢল
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখার আয়োজনে এ শোভাযাত্রায় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন ও তাদের শাখা সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
ঢাকায় আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রায় নেতাকর্মীদের ঢল
রাজধানীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাল-সবুজের সাজে সজ্জিত হয়ে শোভাযাত্রায় আসেন।
দুপুর থেকে রমনা ও শাহবাগ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো মিছিলসহ এসে জড়ো হয়। সব মিছিল এসে রমনা ধানমন্ডি সড়কে সমাবেশে রূপ নেয়।
একদিক থেকে শুরুর ঘোষণা এলেও অপরপ্রান্ত প্রায় ধানমন্ডি ছুঁয়েছে। দীর্ঘ মিছিল রাজধানীজুড়ে বিজয়ের আবহ তৈরির পাশাপাশি জনভোগান্তিও সৃষ্টি করেছে।