BMBF News

দুমকিতে রাস্তার বেহাল দশা- চরম ভোগান্তিতে ৪টি ইউনিয়নের হাজারো পথচারী

৪৯
মেহেদী হাসান, দুমকী, (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

 

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া খাল গোড়া থেকে তালুকদার বাজার হয়ে সেকান্দার আলী দফাদার বাড়ির দরজার গুচ্ছ গ্রাম পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেড় কি.মি. মাটির রাস্তাটি দেড় যুগেও মেরামত, সংস্কার বা পাকা করনের অভাবে ভেঙে বড় বড় খানাখন্দে পরিনত হয়েছে।

চলতি কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কাঁচা রাস্তায় পানি জমে বড় বড় গর্তে কাঁদা জমে গেছে। এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র ভরসা এরাস্তাটি দিয়ে শ্রীরামপুর, মুরাদিয়া,লাউকাঠি ও মৌকরন এ চার ইউনিয়নের হাজার হাজার জনসাধারনের যোগাযোগ মাধ্যম। উপজেলা শহর দুমকিতে নিত্যনৈমিত্তিক কার্যসম্পাদন, স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের কেনাকাটা করতে যাতায়াতের ভরসা। এছাড়াও দুমকি, মুরাদিয়া বোর্ড অফিস বাজার থেকে পটুয়াখালী যাতায়াতের বিকল্প হিসেবে এ রাস্তা দিয়ে জনসাধারণ চলাচল করে।
স্হানীয় তালুকদার বাজার, কলবাড়ি বাজারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী মালামাল ও নির্মান সামগ্রী পরিবহনের একমাত্র ভরসা এ রাস্তাটি। মুরাদিয়া মহিলা মাদ্রাসা, লতিফ মোহসেনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জামলা দাখিল মাদ্রাসা সহ ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়। এই রাস্তা দিয়ে শ্রীরামপুর, মুরাদিয়া, লাউকাঠি, মৌকরন ইউনিয়নের অন্তত ৭-৮ টি ওয়াডের জনসাধারনের চলাচল। অনেক সময় জরুরি ভিত্তিতে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে আরো ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায় হরহামেশা।
গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে পানি জমে কাঁদায় পরিনত হয়েছে।
এছাড়াও রাস্তাটি দিয়ে ইট বালু বোঝাই অবৈধ মাহেন্দ্রা, ট্রলি পার্শ্ববর্তী মুরাদিয়া ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত যাতায়াত করায় আরো নাজুক হয়ে পড়েছে।
বর্তমান সরকারের আমলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন বিশ্বের রোল মডেল। সর্বক্ষেত্রে সাফল্য গাঁথা ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।
অভুতপূর্ন কাজ করা স্বত্বেও পিছুটান ছাড়ছেনা এ রাস্তাটি পাকা করনের। বিভিন্ন সময় এলাকার তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে উপজেলা, জেলা এমনকি সাংসদ পর্যন্ত গড়িয়েছে এ অবহেলিত জনপদের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম রাস্তাটির পাকাকরণনের দাবি।
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৫নংওয়ার্ডের বাসিন্দা পবিপ্রবিতে চাকুরীরত মোঃ মোসারেফ হোসেন হাওলাদার বলেন, রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত হয়ে পানি জমা হওয়ার কারণে প্রতিদিন যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। জন-প্রতিনিধিরা ভোটের আগে এ-রাস্তাটি পাকা করে দিবেন প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটে নির্বাচিত হয়ে আর কেউ খবর রাখেন না।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আজিজুল হক বলেন, আমি এ উপজেলায় নতুন এসেছি, অনেক কিছুই আমার আজানা। তবে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য রাস্তাটির জরাজীর্ণ , বেহাল দশা নিয়ে কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেও অজানা কারণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়নি। এনিয়ে এলাকার জনসাধারণের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.