BMBF News

দুমকীতে গভীর রাতে সংখ্যালঘুর জমিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ 

৩৪
দুমকী(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

 

পটুয়াখালীর দুমকীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সংখ্যালঘুর জমিতে রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাতানী গ্রামে গত ২ জুন দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড, ২০ নং তৌজির জেএল নং-৫১ এর ৩৫২ নং খতিয়ানের ৪০০, ৪৩৭ ও ৪৬২ দাগের পৈত্রিক সূত্রে মালিক বনমালী শীল। তার ভাতিজা দুলাল শীলের ছেলে রাধেশ্যাম শীল অভিযোগ করে বলেন, আমার চাচাতো দাদা বনমালী শীল ১৯৭৭ সালে ভারত চলে গেলে তার উত্তরাধিকারী হিসেবে ওই জমি আমরা ভোগদখল করে আসছি। একই এলাকার  আঃ লতিফ হাওলাদার গং একটি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে ওই জমি দখল করার পাঁয়তারা করছে। গত ২ জুন দিবাগত রাতে আদালতের নিষেধাজ্ঞাকৃত জমিতে মৃত. আঃ লতিফ হাওলাদারের উত্তরসূরীরা একটি নতুন ঘর নির্মাণ করেন। প্রকৃতপক্ষে বনমালী শীল ও তার ওয়ারিশগন ভারতে বসবাস করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে মৃত্যু আঃ লতিফ হাওলাদারের মেয়ে মাহিনূর বেগম বলেন, আমার বাবা আঃ লতিফ হাওলাদার ও আমার স্বামী সেলিম হাওলাদার ১৯৯৪ সালে ওই জমি বনমালী শীলের কাছ থেকে ক্রয় করলে তা আমরা এত দিন ভোগ-দখল করে আসছি।জমিতে আমাদের ঘর বিদ্যমান আছে। কিন্তু বীরবল শীল ওরফে বিমল শীল ও রাধেশ্যাম শীলসহ বিভিন্ন লোকজন জমি দখলের পায়তারাসহ আমাদের হুমকি ধামকি দিলে আমরা দুমকি থানায় একটি অভিযোগ করি। আদালত ওই জমিতে কেউ যেন অনুপ্রবেশ না করতে পারে তার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এর আগেও জমির মালিকানা দাবী করে আদালতে তারা একটি অভিযোগ দাখিল করলে আদালত সন্তুষ্ট না হলে ওই অভিযোগ খারিজ করে দেয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার জানান, ৯৯৯- এর অভিযোগ ছিল। সে মোতাবেক আমি এস আই পাঠিয়েছিলাম। এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে জমিজমা সংক্রান্ত আইনি যে পদক্ষেপ আছে তা নেয়া হবে।