BMBF News

মহাশ্মশানের উপর নালা তৈরির ভুল লে-আউট বাতিলের দাবি

৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক :

সরকারি জায়গায় বাদ দিয়ে মহাস্থান ও ব্যক্তি মালিকানা জায়গার উপর দিয়ে নালা তৈরির প্রতিবাদে ৬ই এপ্রিল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একসভা করেন বাংলাদেশ সর্বদলীয় মাইনরিটি সংগ্রাম পরিষদ।

 

সিডিএ চট্টগ্রাম এর অধীনে সরকার খন্দকিয়া খালের উপর দিয়ে নালা বা প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকারের উন্নয়নের একটা অংশ। আমরা চাই এই নালাটি হউক। প্রকল্পটি খাল বা সরকারী নির্ধারিত জায়গা দিয়ে করার কথা। সেখানে কাহারো ব্যাক্তি মালিকানার জায়গা পড়লেমাননীয় প্রদানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে যথাযথ নোটিশ, তিনগুণ ক্ষতিপূরণ দিয়ে জায়গা নিম্ফন্ট করে প্রজেক্ট করার কথা। এজন্য সরকার হাজার হাজার টাকা বরাদ্ধ করেছেন।

কিন্তু; নির্ধারিত সরকারী জায়গা বাদ দিয়ে বিনা নোটিশে সরকারীভাবে রেকর্ডভুকৃত ‘দক্ষিণ মাদার্শা মহাশ্মশান’ ও ব্যাক্তি মালিকানা জায়গার উপর দিয়ে মালা বা ‘চট্টগ্রাম জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাহা সংবিধান পরিপরিপন্থী, অণবিরোধী, অগণতান্ত্রিক এবং সর্বোচ্চ আদালতের (রেফাঃ) রায়ের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও ধর্মীয় অনুভূতিতে বিরাট আঘাত।

মদুনাঘাট, দক্ষিণ মাদার্শা সার্বজনিন মহাশ্মশান, হাটহাজারী চট্টগ্রামে ব্রিটিশ সময় থেকে একটি সরকারীভাবে রেকর্ডভুক্ত মহাশ্মশান।এই মহাশ্মশানটি ৬০ ফুট প্রস্থ ১০০ ফুট লম্বা, ১০ শতাংশ জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত। ইহার দক্ষিণে ৭০-৮০ ফুট প্রস্থ সুইচ গেইটের আউতাধীন জোয়ার ভাটাহীন/প্রবাহহীন শুকনো খন্দকিয়া খাল আরএস, বিএস এ তদ্ধাভাবে রেকর্ডকৃত স্থীত আছে, যাহার উপর দিয়ে নালা বা প্রকল্প হওয়ার কথা।

দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় আশ্চার্যের বিষয় ডাফসম্যান অজ্ঞাত কারণে নির্ধারিত খন্দকিয়া খালের দক্ষিণ পাশে ৫০ থেকে ৬০ ফুট প্রস্থ, প্রায় দেড় হাজার ফুট লম্বা সরকারী জায়গা অবৈধ ভড়াট কারীদের ছেড়ে দিয়ে; কাপ্তাই রোড, মদুনাঘাট বাজার সংলগ্ন সরকারীভাবে রেকর্ডকৃত ‘দক্ষিণ মাদার্শা সার্বজনিন মহাশ্মশান ও ব্যাক্তি মালিনার জায়গার উপর দিয়ে নালা তৈরীর পরিকল্পনা দিয়েছেন। সর্বোচ্চ আদালতের (রেফাঃ) রায় আছে যে, মসজিদ মন্দির, পবিত্র স্থান, শ্মশান সমাধি কোন ভাবে রিমোভ করা যাবে না। পবিত্র সংবিধান এবং সর্বোচ্চ আদালতের (রেফাঃ) রায় অমান্য করে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে; কোন প্রকার নোটিশ এবং ব্যক্তি মালিকানার জায়গার ক্ষতিপূরণ না দিয়ে, এই কাজ অগণতান্ত্রিক, অসংবিধানিক এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে বিড়টি আঘাত ও সরকারী নিয়মের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

শুধু তাই নহে; ইতিমধ্যেই প্রজেক্ট টিকাদার প্রতিষ্ঠান পিক্সেল বিল্ডারসের মোঃ কাউসার এবং ডাইনামিক লিঃ ফুয়াদ সাহেব কোন প্রকার আলোচনা না করে বিনা অনুমতিতে অতর্কিতে শ্মশানটির প্রায় ১০০ ফুট তারের মিরাবেড়া ভেঙ্গে, ভিতরে পবিত্র সমাধিগুলোকে তছনছ ও ধবংস করে এবং মহাশ্মশানটিকে খুবই অমর্যাদা ও সমান্তরাল জমি বানিয়ে কাস্টিং (সিমেন্টের টুনি) জমান। তারা শ্মশানের প্রচুর ফলন্তপাছ, বাশঝাড় ও সরকারী মেহগিনী গাছ কেটে ফেলে। জনগনের আকুল আবেদন তারা মানে নাই। এই শোকে গ্রামবাসিরা গভীর দুঃখ বুকের বেদনা নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলিতেছি। ইহাতে আমরা রামনামিরা একই ভাবে মনে বিরাট আঘাত পেয়েছি। এখানে প্রজেক্টে অনেকে সর্বশান্ত হয়ে ক্ষতি পূরণের আশায় অফিসের বারান্দায় ঘুরে ঘুরে হয়রানি হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে মহাশ্মশান কমিটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টরের বরাবর অভিযোগ করলে, তিনি যৌতভাবে মেপে ও সীমানা। নির্ধারণ করে কাজ করার আশ্বাস দেন এবং অন্যের একফুট জায়গার উপর দিয়েও নালা তৈরী করবেন না বলিয়া জানান। এর বেশকিছুদিন পর জনৈক ড্রাফসম্যান মিজানুর রহমান সাহেব শ্মশানে এসে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, এখানে কোন মাপ-ঝোপ হবে না’। এই প্রজেক্ট করতে গিয়ে আমরা মসজিদ ভেঙ্গেছি, কবরস্থান ভেঙ্গেছি। ব্যক্তিগত জায়গা পড়েবে, শ্মশান ভাঙ্গা হবে, আরো ১৫ ফুট শ্মশানের জায়গার রাস্তা করব। শ্মশান না থাকলে আমাদের কিছুই যায় আসে না। এইভাবে এলাকার গন্য-মান্য ব্যাক্তিগণকে, শ্মশানের পক্ষে নিয়োজিত ড্রাফসম্যানকে অপমান করে একটি মাইক্রোবাস যোগে তিনি এলাকা ত্যাগ করেন। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারীর নীতিহীন এই হেন আচরণ শুনে গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ আশ্চার্য ও অপমান বোধ করেন। এই অনিয়ম-দাম্ভিকথায় ড্রাফস ম্যানের কি ইন্টারেস্ট তদন্তের

অতএব আমরা রামনামীদের ন্যার্য্য ও প্রাণের দাবী, সরকারী নির্ধারিত জায়গায় প্রজেক্ট বা নালা তৈরী করতে হবে। যৌথ মেপে সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। গণমানুষের শ্রদ্ধা- ধর্মীয় অনুভূতির জায়গা ‘মহাশ্মশান’ ও ব্যাক্তি মালিকানা জায়গা ছেড়ে দিতে হবে, মহাশ্মশান তছনছের অবমাননা কারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার এবং ক্ষতিপুরণ ব্যবস্থা করে জনতাকে স্বস্থি প্রদান এবং মহামশানের জন্য অনুদানের দাবীতে গণসমাবেশ ও প্রতিবাদে দলে দলে যোগদান করুন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.