প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন বলেছেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের শপথগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নতুন সিইসি। তিনি বলেন, “শপথের সম্মান রাখবো এবং দায়িত্বকে জীবনের বড় সুযোগ হিসেবে দেখছি। জাতির জন্য কিছু করার এটি একটি বড় সুযোগ।”
সিইসি আরও বলেন, “দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে। আমরা সেই ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করব।”
তিনি জানান, “গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বিদ্যমান ব্যবস্থায় কিছু সংস্কার লাগবে। সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশন এ বিষয়ে কাজ করছে। ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের সুপারিশ পেশ করার কথা রয়েছে, যা প্রয়োজন তা গ্রহণ করা হবে।”
নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চাকরি জীবনে বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। নির্বাচন কমিশনেও সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব।”
এর আগে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের পরিচালনায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার শপথ নেন। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২১ নভেম্বর, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত সচিব এএমএম নাসির উদ্দীনকে এবং চার নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমান মাসুদ, বেগম তহমিদা আহমদ ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহকে নিয়োগ দেয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন গঠনে ছয় সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ দেন।
নাসির উদ্দীনের বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া। ১৯৫৩ সালের ১ জুলাই জন্মগ্রহণ করা নাসির উদ্দীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে বিসিএস প্রশাসনে যোগ দেন। কর্মজীবনে তিনি তথ্য, পরিকল্পনা, বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নির্বাচন কমিশন গঠনে এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে জনগণের প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। এখন দেখা যাবে নতুন কমিশন তাদের প্রতিশ্রুতি কতটুকু রক্ষা করতে পারে।