BMBF News

গাজায় ত্রাণকেন্দ্রে পদদলিত হয়ে ২০ জনের মৃত্যু, গুলিতে হত্যার অভিযোগ

গাজায় একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। তবে এই মৃত্যুর কারণ নিয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে এবং কেন্দ্রটির নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে আগেও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

জিএইচএফ-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খান ইউনিস এলাকার ওই কেন্দ্রে ‘বিশৃঙ্খল ও বিপজ্জনক’ ভিড়ে পদদলিত হয়ে ১৯ জন এবং ছুরিকাঘাতে একজন মারা গেছেন। সংস্থাটি এই বিশৃঙ্খলার জন্য হামাসের সঙ্গে যুক্ত ‘বিক্ষোভকারীদের’ দায়ী করেছে।

তবে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল জানিয়েছে, জিএইচএফ-এর নিয়োগকৃত মার্কিন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা ত্রাণকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার পর ‘শ্বাসরোধ’ হয়ে মারা যাওয়া ১০ জনের মরদেহ তারা পেয়েছে।

এই ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন নয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রায় প্রতিদিনই ত্রাণপ্রার্থীরা ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হচ্ছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত ছয় সপ্তাহে জিএইচএফ-এর চারটি ত্রাণকেন্দ্রের আশেপাশে ৬৭৪টি হত্যাকাণ্ড রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য ত্রাণ কনভয়ের পথে আরও ২০১টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

এর আগে জিএইচএফ-এর একজন নিরাপত্তারক্ষী বিবিসিকে জানিয়েছিলেন যে তিনি তার সহকর্মীদের ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালাতে দেখেছেন।

বুধবারের এই ঘটনার আগ পর্যন্ত জিএইচএফ তাদের স্থাপনার কাছে কোনো প্রাণহানির কথা অস্বীকার করে আসছিল এবং জাতিসংঘের বিরুদ্ধে হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘মিথ্যা তথ্য’ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিল। এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বেসামরিক নাগরিকের ক্ষতির কথা স্বীকার করে বলেছে, তারা এই ধরনের সংঘাত কমানোর চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, জিএইচএফ ইসরায়েলি সামরিক এলাকায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ব্যবহার করে ত্রাণ বিতরণ করে। জাতিসংঘ তাদের এই কার্যক্রমকে ‘অনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।