শান্তিতে নোবেলজয়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সময় রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের প্লেইন্সে নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জিমি কার্টারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশিষ্ট রাজনীতিবিদরা। মৃত্যুকালে তিনি চার সন্তান ও ১১ জন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তার স্ত্রী রোসালিন গত ২০২৩ সালের নভেম্বরে মারা যান।
ডেমোক্র্যাট দল থেকে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জিমি কার্টার। প্রেসিডেন্ট পদে জনপ্রিয়তা হারানোর পর তিনি মানবিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হন এবং এর মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেন। ২০০২ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
জিমি কার্টার জর্জিয়ার প্লেইন্সে ১ অক্টোবর ১৯২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে মার্কিন নৌবাহিনীতে একজন কর্মকর্তা হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন বহরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন। পরে পারিবারিক চিনাবাদাম চাষের ব্যবসা চালানোর জন্য নিজ শহরে ফিরে আসেন।
১৯৬০ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন জিমি কার্টার। জর্জিয়ার প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যের গভর্নর ছিলেন। ১৯৭৬ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান জেরাল্ড ফোর্ডকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তবে ১৯৮০ সালের নির্বাচনে রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে পরাজিত হন।
তার মৃত্যুতে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। জিমি কার্টার ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন।