কামাল হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দুমকিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোঃ নাঈম হোসেনকে(২৬) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলো স্থানীয় ছাত্রজনতা।
গতশনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার লেবুখালী নিজ বাড়ির এলাকা থেকে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আটককৃত নাঈম হোসেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দুমকি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি হারুন অর রশীদ হাওলাদারের অঘোষিত এপিএস ও প্রেস সচিব ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুমকি উপজেলা প্রশাসনকে হুমকি দিয়ে নানা অনৈতিক সুবিধা আদায়, পবিপ্রবি আওয়ামী প্রশাসনের যোগসাজশে নিয়োগ বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, ঠিকাদারি কাজের পার্সেন্টেজ আদায়সহ নানা অপকর্মের মাধ্যমে অঢেল অবৈধ অর্থ সম্পদ অর্জণের অভিযোগ রয়েছে। পবিপ্রবির নানা অপকর্মের এ মূল হোতা নাঈম তার আপন বোনকে কবে পবিপ্রবিতে নার্স পদে চাকরি দিয়েছেন। একাধিক নথি থেকে জানা গেছে, পবিপ্রবির একজন ডীনের স্বাক্ষর জালিয়াতি করার অপরাধে ইতিপূর্বে নাঈমকে ইত্তেফাক থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরে নাঈম ৪ লক্ষ টাকার বিনিময় বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো: আল আমিন মিরাজের মাধ্যমে যুগান্তরের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হন। ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট এর পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিবাদের মুখে নাঈম ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু তদবির করেও আর ঢুকতে না পেরে আল আমিন মিরাজকে আরো দুই লক্ষ টাকা প্রদান করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা নাঈম পবিপ্রবি প্রতিনিধি বাদ দিয়ে স্টাফ রিপোর্টার (দক্ষিনাঞ্চল) এর নিয়োগ বাগিয়ে নেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পবিত্র ঈদুল আযহা উৎসবের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লেবুখালী এলাকায় ঘোরাঘুরি কালে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুমন শরীফের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন ছাত্রজনতা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে ধৃত নাঈমকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।