মেহেদী হাসান,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকিতে বিস্তীর্ণ মাঠে সবুজের মাঝে সূর্যমুখী ফুলের অপরূপ দৃশ্য দেখে মনে হয় হলুদ বর্ণের সাজে সেজেছে প্রকৃতি। যতদূর চোখ যায় কেবলই দেখা যায় সবুজ সমাহারের মাঝে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে সূর্যমূখীর গাঢ় হলুদ রঙের ফুল। বসন্তের দক্ষিনা হিমেল দুঁলছে আর ফুল প্রেমিদের ইশারায় ডাকছে। আর এমন মনোরম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করেছেন দর্শনার্থীরা সেলফি তোলার জন্য। সূর্যমুখীর ফুলে ফুলে ভরে যেতে শুরু করেছে সারা মাঠ। আর এ দৃশ্য দেখে কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ দেখা যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে সূর্যমূখী চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২ হেক্টর। কিন্তু ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিজেদের চাহিদা মেটাতে কৃষকরা দিন দিন ঝুঁকছেন সূর্যমূখী চাষে। তাছাড়াও অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে অধিক লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা তাদের সাধ্যমত তৈল জাতীয় এ ফসল চাষ করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আঠারোগাছিয়া, কার্তিক পাশা, লেবুখালী, পাঙ্গাশিয়া, আলগী, হাজীর হাট, আঙ্গারিয়া, সাতানী, উত্তর মুরাদিয়া, সন্তোষদি, শ্রীরামপুর, রাজাখালী,চড়বয়েরা, দক্ষিণ শ্রীরামপুর এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ব্যাপক হারে সূর্যমূখীর চাষ করেছেন।
আঠারো গাছিয়ার কৃষক খলিল সিকদার বলেন, চলতি মৌসুমে আমি তিন প্লটে ষাট শতাংশ জমিতে কাভারী- হাইব্রিড জাতের সূর্যমূখীর চাষ করেছি। প্রতিটি প্লটের গাছ ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে আমার গাছে ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে।
গাছ এবং ফুলের ধরন দেখে মনে হচ্ছে এবছর ফলন ভালো হবে। শ্রীরামপুরের অপর এক কৃষক মোতাহার হাওলাদার ও কালাম ঘরামী বলেন, আমার গাছে ফুল ফোটা শুরু করেছে। আশাকরি সারাবছর তেলের চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত কিছু বিক্রি করতে পারব। এছাড়াও সূর্যমূখীর খৈর সারা বছর জুড়ে গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করি এবং শুকনো গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, সরকারি ভাবে কৃষি প্রনোদনার আওতায় কৃষকদের বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল “কাভারী হাইব্রিড ও হাইসান-৩৩” জাতের
সূর্যমূখীর বীজ, সার দিয়েছি। ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে কৃষকদের সূর্যমূখী চাষে উৎসাহিত করছি। সূর্যমূখী চাষে কৃষকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমি ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি।