জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের এক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। নাহিদ ইসলাম বিএনপিকে ‘মুজিববাদের চাঁদাবাজদের পাহারা দেওয়ার দল’ বলে যে মন্তব্য করেছেন, সেটিকে ‘অসভ্য উক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে দেশের মানুষ তা মেনে নেয়নি বলে উল্লেখ করেন ফারুক। তিনি নাহিদকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে ঢাকাস্থ সেনবাগ ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদকে উদ্দেশ করে ফারুক বলেন, “আপনারা দল গঠন করে মানুষের কাছে যাবেন, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন—এই অবদান আমি অস্বীকার করি না। কিন্তু দল গঠনের পর আপনারা যে মন্তব্য করলেন, তাতে খুব কষ্ট ও ব্যথা পেয়েছি। যারা ক্ষমতায় যেতে চায়, তাদের মুখে এমন অসভ্য উক্তি বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেয় না।”
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান ১৬ বছর বিদেশে থেকেও দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শক্তি জুগিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এমন ভাষা ব্যবহার দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক।
জয়নুল আবদিন ফারুক দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেন, “এই সংকটের পরিসমাপ্তি এখনও হয়নি। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর মনে হয়েছিল দেশে আর দুঃশাসন থাকবে না, দিনের ভোট রাতে হবে না। আমরা আশা করেছিলাম, সব দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাব।”
তিনি অভিযোগ করেন, একটি গোষ্ঠী বিদেশে বসে কালো টাকার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনে ফাটল ধরাতে চায়। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় জামায়াতে ইসলামীর প্রতিও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ফারুক। তিনি বলেন, “এত জ্বালা কেন? এত অহংকার কেন? আপনাদের ইতিহাস আমরা ও বাংলার মানুষ জানে। আমাদের নেতা তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে অশোভন মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন।”
তিনি আরও বলেন, ষোলো বছরের আন্দোলন ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সফলতা এবং আসন্ন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা হলে তার দায় সমালোচনাকারীদের নিতে হবে।
সভাটি আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এবিএম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরও বক্তব্য দেন মোজাম্মেল হোসেন সেলিমসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।