রাকিবুজ্জামান দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের অপরাধে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও নৌ পুলিশ ফাঁড়ি।
চলতি বছরের ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলা এ অভিযানে তেতুলিয়া ও বুড়োগৌরাঙ্গ নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৩০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। এ সময় ১,২৩০ কেজি ইলিশ মাছ উদ্ধার করে এতিমখানা ও অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
২২ দিনের এই অভিযানে ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে, ৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫১ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা প্রদান করা হয়েছে।
দশমিনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন,
“মা ইলিশ সংরক্ষণে আমরা মাঠপর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করেছি। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।”
নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফেরদাউস আহমেদ বিশ্বাস বলেন,
“মা ইলিশ সংরক্ষণ শুধু আইনি দায় নয়, এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্বও। তেতুলিয়া ও বুড়োগৌরাঙ্গ নদীতে দিন-রাত টহল জোরদার রাখা হয়েছিল যাতে অসাধু জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে না পারে।
আমরা চাই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন প্রাচুর্যপূর্ণ ইলিশ সম্পদের সুফল ভোগ করতে পারে— সেই লক্ষ্যেই আমাদের নিরবচ্ছিন্ন অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
জেলা মৎস্য দপ্তরের তথ্যমতে, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পটুয়াখালী জেলার মধ্যে দশমিনা উপজেলাই সর্বাধিক কারেন্ট জাল জব্দ ও মামলা রেকর্ড করেছে, যা প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকার একটি সফল উদাহরণ।