বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে নাসির উদ্দীন (৩৫) নামের এক যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার ঘুটাবাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান নিশ্চিত করেছেন।
নাসির উদ্দীন পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. শাহজাহানের ছেলে। তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক।
জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে বুধবার সকালে পাথরঘাটার নতুন ব্রিজ এলাকায় খাদ্যগুদামের সামনে নাসির উদ্দীন ও হাসানের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নাসির হাসানকে চড় মারেন। এরপর নাসির দলীয় প্রোগ্রাম শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাব্বি ও হাসানসহ আরও দুই-তিনজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা।
ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা রাব্বি ও হাসানের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পাশের একটি ঘরও পুড়ে যায়।
ওসি মেহেদি হাসান বলেন, “লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আটজনকে আসামি করে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপি হত্যার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আনছার মোল্লা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে চিৎকার শুনে তিনি রাস্তায় বের হন। তখন নাসিরকে কুপিয়ে দুজন পালিয়ে যেতে দেখেন। দ্রুত নাসিরকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক দাবি করেছেন, হত্যাকারীরা আগে ছাত্রলীগের কর্মী ছিল এবং পরে শিবিরের সঙ্গে জড়িত হয়। তবে বরগুনা জেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি শামীম আহসান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, অভিযুক্তরা জামায়াতের কোনো কর্মী নয়।