ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তুরাগ থানাধীন সকল মসজিদের মুসল্লিরা।
আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) জুমার নামাজ শেষে তুরাগ থানাধীন সকল মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে সমাবেশ স্থল কামারপাড়া ব্রিজ এলাকায় একত্রিত হয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। তুরাগ থানা তাফসীরুল কোরআন কমিটি ও সর্বস্তরের তাওহীদি জনতারা এই কর্মসূচীর আয়োজন করে।
তুরাগ থানা তাফসীরুল কোরআন কমিটি ও সর্বস্তরের তাওহীদি জনতার ব্যানারে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক মুসল্লিরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কামারপাড়া ব্রীজে এসে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
বিক্ষোভ মিছিলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বোমা হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়। ‘ইসরায়েলের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ বিশ্বমুসলিম অস্ত্র ধরো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো’, ‘ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ, ইসরাইল মুরদাবাদ’ ও ‘বাইডেন-নিয়াহু ভাই ভাই, আমরা তাদের ধ্বংশ চাই’ প্রভৃতি স্লোগানে প্রকম্পিত হয় তুরাগ তীর।
বিক্ষোভ সমাবেশে গাজায় হামলা নিয়ে বিশ্ব নেতৃত্বের নীরবতার নিন্দা জানানো হয়। জাতিসংঘ, ওআইসি আরব লীগ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিক্ষোভকারীরা।
জামিয়া সুবহানিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মহিউদ্দিন মাসুম বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে সভাপতিত্ব করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে সরকারের কাছে অস্ত্র, বস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার আহবান জানান। তিনি বলেন, “সরকার জাতিসঙ্ঘকে চাপ প্রয়োগ করার মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণার উদ্যোগ গ্রহণ করুক এটিই আমরা চাই।‘
এছাড়াও সমাবেশ থেকে বক্তারা ইসরাইলের সাথে সমস্ত ব্যবসায়িক, কূটনৈতিক ও গোপন সম্পর্ক বিচ্ছন্ন করার দাবি জানান। সেইসাথে ইজরাইলের পণ্যের তালিকা করে সেগুলোকে বয়কট করারও দাবি জানান।
জামিআ’তুন নাজাত আল ইসলামিয়া’র মুহতামিম মাওলানা হুসাইন আহমদে ও মুফতি খায়রুল হাসানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মাদীনাতুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আহমদ শফি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিষ্টার মাওলানা মাহবুবুল হক লোকমান, বায়তুল আমান জামে মসজীদের খতীব মুফতি আল আমিন, চ্যায়েরম্যান বাড়ী জামে মসজিদের খতীব মুফতি ইসমাইল, বায়তুর রাশাদ জামে মসজিদের খতীব মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আল মাহদী, মুফতি শফিকুল ইসলাম জামিয়া সুবহানিয়া ও মাওলানা জয়নাল, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা শাহাদাত হোসাইন প্রমুখ।