ঢাকার মিরপুরে চাদাঁবাজি ও প্রতারণা করে টাকা লুট করে নেয়ার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় আটকদের থেকে ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের।
বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাকছেদুর রহমান।
তিনি জানিয়েছে, ধানমন্ডির একজন বাসিন্দা একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এক নির্মাণাধীন ভবনে তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকা মূল্যের তিনটি ফ্লোর কেনার জন্য ৩০ লাখ টাকায় বায়না করেন।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি ২৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। পরে ওই কোম্পানীর ডিএমডি ও এমডি মোবাইল ফোনে তাকে জানায় যে, রেজিষ্ট্রেশনের জন্য বাকি টাকা সঙ্গে করে আনতে হবে। তখন বাদী বকেয়া টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যেমে দিতে চাইলে তাকে নগদ টাকা নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
পরে তিনি কিছু টাকা নিয়ে ওই কোম্পানীর অফিসে গেলে হঠাৎ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন ব্যক্তি মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় পিস্তল সদৃশ্য বস্তু দিয়ে গুলি করা ভয় দেখিয়ে ভিকটিমকে মারধর করে সাথে থাকা টাকা কেড়ে নেয় ও আটকে রাখে। তাছাড়া ভিকটিমের স্ত্রীর কাছে থাকা বাকি টাকা এবং তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন পরিবারের সদস্যদের ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
পরে ভিকটিমকে তার পরিবারের সাথে অফিস কক্ষের পাশের রুমে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে চলে যায়। তাদের চিৎকারে এক ব্যক্তি দরজা খুলে দিলে তারা রুম থেকে বের হয়ে আসেন। পরে মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমদের উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। সেসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করার কথা জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় নয়ই অক্টোবর একটি মামলা দায়ের করা হয়।