রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য থাকা কোটা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেবলমাত্র সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এক শতাংশ কোটা রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, সব ধরনের পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবি: ১. সব ধরনের পোষ্য কোটা বাতিল। ২. ফ্যাসিস্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচারের আওতায় আনা। ৩. সহকারী প্রক্টর হিসেবে দুইজন ফ্যাসিবাদী শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কারণ দর্শানো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, “পোষ্য কোটা মানেই অযোগ্যদের সুযোগ করে দেওয়া। এটি জাতির জন্য ক্ষতিকর। যদি পোষ্য কোটা রাখতে হয়, তবে তা দেশের সব দরিদ্র মানুষের সন্তানের জন্য প্রযোজ্য হতে হবে।”
অবস্থান কর্মসূচিতে শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত থেকে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্লোগান ছিল- “পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে, লড়াই হবে একসাথে।” “মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না।” “আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের তালাবদ্ধ এই কর্মসূচি ও শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে এখনো প্রশাসনের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।