নিজস্ব প্রতিবেদক :
বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেল ঘোষণা, অন্তবর্তীকালীন সময়ে জন্য ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের ৫০% মহার্ঘ ভাতা প্রদান, টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড পূর্নবহাল, সচিবালয়ের ন্যায় পদ-পদবি এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি বাস্তবায়নসহ ৭ দফা দাবিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ এর উদ্যোগে ৭ এপ্রিল শুক্রবার, সকাল ১০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকার সামনে এক শান্তিপূর্ণ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয় । সমন্বয়ক জনাব মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ১১- ২০গ্রেডের সরকারি চাকুরিজীবিদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম এর সম্মানিত সভাপতি জনাব মোঃ লুৎফর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন মূখ্য সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি জনাব মোঃ ওয়ারেছ আলী।
উক্ত মানব বন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সর্বজনাব মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, সভাপতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, মোঃ ইব্রাহিম খলিল, সভাপতি, তৃতীয় শ্রেণী সরকারী কর্মচারী সমিতি, মোঃ আনিসুর রহমান, সভাপতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমাজ, খন্দকার মহিউদ্দিন আহমেদ, সভাপতি আন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি ফেডারেশন, নাসির উদ্দিন হাওলাদার, আহবায়ক, বাংলাদেশ। ১৭-২০ গ্রেড কর্মচারি সমিতি, জনাব মোঃ জিয়াউল হক, সভাপতি, বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ, খায়ের আহম্মেদ মজুমদার, সমন্বয়ক, মোঃ মাহমুদুল হাসান, সমন্বয়ক, মোঃ গাজিউল ইসলাম, সমন্বয়ক, মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল, সমন্বয়ক, আসমা খানম, সমন্বয়ক, মোঃ হেলাল উদ্দিন, সমন্বয়ক, নুরে আলম, সদস্য সচিব, বাংলাদেশ ১৭-২০ কর্মচারি সমিতি, মোঃ আইনুল হক,সার্ভে অব বাংলাদেশ, মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, সমন্বয়ক, মোঃ আব্দুল্লাহ সমন্বয়ক, বিভাগীয় সমন্বয়ক মো: আসাদুর রহমান, মোঃ খোরশেদ আলম, আবুল কালাম আজাদ, সেলিম রেজা, যুগ্ম সমন্বয়ক আফরোজ আলী মোল্যা, মোজহারুল ইসলাম, মোঃ ফরিদ আহমেদ সরদার, কায়সার হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ তারিকুল ইসলাম, কামরুজ্জামান উজ্জ্বল, সরোয়ার হোসেন তালুকদার, মাহবুব হোসেন তালুকদার, আরিফুল ইসলাম, মৌসুমী প্রধান, আশিকুল ইসলাম আশফাকুল আশেকীন, মোঃ আব্দুল হালিম, গাজী সালাউদ্দিন, শাহীনুর রহমান, আব্দুল্লা আল মামুন, মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ শহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন,মোঃ শাহজাহা, মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন, বেলাল হোসেন, আতাউর রহমানসহ কেন্দ্রীয় কমিটি অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী দাবী আদায় ঐক্য পরিষদের নিম্নবর্ণিত ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রজাতন্ত্রের সকল স্তরের কর্মচারীদের প্রতিনিধিগণ মানব বন্ধন কর্মসূচিতে কর্মচারীদের মনের পুঞ্জিভূত অসন্তোষ ও বিরাজিত ক্ষোভ নিরসনসহ ৭ দফা দাবী দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।
৭ দফা দাবী সহ নিম্নরূপঃ
১। পে-কমিশন গঠন পূর্বক ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তবর্তীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতে হবে।
২/১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।
৩। সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদনান পরিবর্তনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীত করণ এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করতে হবে।
৪। টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পূণর্বহাল সহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনা:বহল, বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন প্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
৫। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ ও অধ:স্তন আদালতের কর্মচারিদের বিচার বিভাগীয় সহায়ক কর্মচারি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
৬। আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। ব্লক পোষ্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর বেতন স্কেলের উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।
৭। বাজারমূল্যের উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও
অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছনা নির্ধারণ করতে হবে।
মানব বন্ধন কর্মসূচির স্বাগত বক্তব্যে মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বৈষম্য মেনে নেওয়া যাবে ন।দ্রব্যমূল্যর চরম ঊর্ধ্বগতি ও পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার প্রাপ্ত বেতনের অর্থ দিয়ে মাসের ১৫ দিনও চলা সম্ভাব না।৫ বছর পর পর পে স্কেল প্রদানের প্রথা চালু থাকলেও ২০১৫ সালের ৮ম পে-স্কেল প্রদানের পর দীর্ঘ ৭বছর অতিক্রান্ত হয়েছে এ পর্যায়ে কর্মচারিদের ৯ম পে-স্কেলসহ ভাতাদির অসংগতি দূর করা প্রত্যাশিত। অনতিবিলম্বে সকল দপ্তর অধিদপ্তরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন করে বেতন ও পাদবী বৈষম্য দূর করে পূর্বের ন্যায় টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেট পুনবহনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ৩০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখের মধ্যে উল্লেখিত দাবিসমূহ যদি বাস্তবায়ন না হয় অথবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাথে আলোচনার সুযোগ না দেয়া হয় তাহলে আগামী ১২ মে ২০২৩ তারিখ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠানের ঘোষণা করেন। তার পরেও দাবি বাস্তবায়িত না হলে পরবর্তীতে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে।
সভাপতি মহোদয় তার বক্তব্যে বলেন ১১ থেকে ২০গ্রেডর বঞ্চিত লক্ষ লক্ষ কর্মচারীদের দাবী বিষয় বিবেচনা না করে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব নয়। এ সকল দাবী বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মরকলিপি প্রদান, সাংবাদিক সম্মেলন মানববন্ধন সহ বিভিন্নভাবে আবেদন নিবেদন করা হয়েছে।