মো: নুরুজ্জামান,দুমকি প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকীতে হালিমা আক্তার মিম (২০) নামের গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার মূলহোতা আরিফ হোসেন সিকদারকে(৩০) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে রবিবার (১১জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক আরিফের বাড়ি উপজেলার লেবুখালি ইউনিয়নের কার্তিক পাশা গ্রামে। সে নিহত হালিমা আক্তার মিমের সম্পর্কে চাচাতো দুলাভাই।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাশার জানান, এ হত্যাকান্ডের মূল আসামী আমরা আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় বিস্তারিত জানাবেন।
উল্লেখ্য, উপজেলা সাতানী গ্রামের জামাল হোসেন প্রিন্স তার স্ত্রী হালিমা আক্তার মিম ও ছেলে ওয়ালিফ ইসলাম জিসানকে নিয়ে পারিবারিক কলহ এড়াতে গত ২জুন উপজেলার নতুন বাজার এলাকার শাহজাহান মুন্সীর ভাড়া বাসায় ওঠেন। বৃহস্পতিবার(৮জুন) দুপুরের খাবার খেয়ে ওই বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন হালিমা ও তার ছোট্ট ছেলে জিসান। অপরদিকে জামাল হোসেন দুপুরের খাবার খেয়ে কর্মস্থলে চলে যান। বেলা তিনটার দিকে হঠাৎ হালিমার ডাকচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং বাইরে থেকে দরজার ছিটকিনি বন্ধ পান। পরে তাঁরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শাড়ি ও ওড়না দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হালিমা এবং তার শিশু জিসানকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত বরিশাল শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাদের ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন শুক্রবার (৯ জুন) বিকেলে হালিমা মারা যায়। দগ্ধ শিশু সন্তান জিসান সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওই রাতেই বাদি হয়ে হালিমার মামা ওমর ফারুক দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করলে হালিমার শ্বাশুড়ি পিয়ারা বেগমকে পুলিশ ওই দিনই আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।