নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০২১ সালের জন্য দেশের ১৮০ ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে সম্মাননা দিয়েছে সরকার। রোববার (২৫ জুন) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ব্যবসায়ী নেতাদের হাতে এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
গত ২৪ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তরফদার সোহেল রহমানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে সিআইপি সম্মাননায় মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
সরাসরি রপ্তানি খাতে অবদানের জন্য ১৪০ জনকে সিআইপি সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কাঁচা পাট শ্রেণিতে চারজন, পাটজাত পণ্যে চারজন, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে পাঁচজন, হিমায়িত খাদ্যে আজন, ওভেন পোশাকে (একক) ১৭ জন, ওভেন পোশাক (গ্রুপ) শ্রেণিতে চারজন, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে তিনজন, কৃষিপণ্যে আটজন, হালকা প্রকৌশল পণ্যে তিনজন, ফার্মাসিউটিক্যালস শ্রেণিতে চারজন এবং হস্তশিল্প শ্রেণিতে তিনজন সিআইপি সম্মাননা পেয়েছেন।
অন্যদের মধ্যে হোম টেক্সটাইলে তিনজন, নিট পোশাকে (একক) ২৫ জন, নিট পোশাকে (গ্রুপ) সাতজন, সিরামিক পণ্যে দুজন, প্লাস্টিক পণ্যে একজন, বস্ত্রখাতে সাতজন এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার, কম্পিউটার সেবা ও ডেটা প্রসেসিং ইত্যাদি পণ্য ও সেবা শ্রেণিতে চারজন, বিবিধ পণ্য শ্রেণিতে ২৩ জন ও ইপিজেডভুক্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সিআইপি সম্মানা পেয়েছেন। এছাড়া ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের থেকে ৪০ জনকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম. আহসান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
গত ২৪ মে’র প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী এক বছরের জন্য এ সিআইপিরা সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাস ও গাড়ির স্টিকার পাবেন। এছাড়া জাতীয় অনুষ্ঠান ও নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার ও বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া সিআইপিরা তাদের স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা পাবেন। বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের জন্য ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে।
সিআইপি হিসেবে যে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে, তা মেয়াদোত্তীর্ণের সাতদিনের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে ফেরত দিতে হবে। সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে যে কোনো ব্যক্তির সিআইপি হিসেবে প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা মেয়াদকালীন যে কোনো সময় জনস্বার্থে প্রত্যাহার করতে পারবে।