মেহেদী হাসান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকিতে তথ্য গোপন করে বাল্যবিবাহ চেষ্টা ঘটনায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বাবা ও বাল্য বিবাহে সাহায্য করার অপরাধে এক নারীকে প্রথমে আটক করেছে দুমকি থানা পুলিশ। পরে দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উভয়কে ৭দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, রুহুল আমিন সিকদার (৫৫) পিতাঃ আব্দুস সোবহান সিকদার ও
তাসলিমা (৩০) পিতাঃ আব্দুল মজিদ চৌকিদার। উভয় সাং আলগী, ইউনিয়ন পাঙ্গাশিয়া, উপজেলা দুমকি, জেলা পটুয়াখালী।
সূত্রে জানা যায়, দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আলগী গ্রামের রুহুল আমিন সিকদারের নাবালিকা মাদ্রাসায় নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে মোসাঃ রুমানা আক্তারের জন্ম নিবন্ধন সনদে ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর
জাল করে বয়স বাড়িয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলার মৌকরন ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে মোঃ রিপন হাওলাদারের সাথে গত ০৬/১০/২৪ ইং তারিখ পটুয়াখালী বিজ্ঞ নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিট এর মাধ্যমে বিবাহ করেন।
পরবর্তীতে মেয়ের নিজ বাড়িতে ছেলে রিপন ও তার বাবা সহ লোকজন আসলে এলাকাবাসী অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে দুমকি থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের বাবা রুহুল আমিন সিকদার ও বিবাহ কার্যে সহায়তাকারী মোসাঃ তাসলিমা বেগমকে আটক করে। অপরদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছেলের পক্ষ সিটকে পড়ে।
পরে ১৪-১০-২৪ ইং বিকেলে দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহীন মাহমুদ ভ্রাম্যমাণ আদালত এর মাধ্যমে আটককৃতদের সাত দিনের কারাদণ্ড প্রদান করে কারাগারে প্রেরণ করেন।