রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, তার দেশ পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তিশালী নতুন প্রযুক্তির হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ করেছে এবং প্রয়োজনে সেগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারে প্রস্তুত। এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, “রাশিয়ার সুরক্ষার জন্য আমরা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা অব্যাহত রাখব।”
রাশিয়া সম্প্রতি ইউক্রেইনে মাঝারিপাল্লার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। পুতিন দাবি করেছেন, এই অস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অস্ত্র ব্যবহারের জবাবে ইউক্রেইনের সামরিক স্থাপনায় ব্যবহার করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার নতুন “ওরেশনিক” হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। এটি একইসঙ্গে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে এবং ঘণ্টায় ১৩ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে চলতে পারে।
ইউক্রেইন জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র মাত্র ১৫ মিনিটে লক্ষ্যে পৌঁছেছে। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তাদের দেশ রাশিয়ার নতুন হুমকির মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ সীমিত হওয়ায় প্রতিদিন এই ধরনের অস্ত্র পরীক্ষা চালানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
পুতিন দাবি করেছেন, ইউক্রেইন যুদ্ধ এখন বৈশ্বিক রূপ পাচ্ছে। তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া পাল্টা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেইন ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।