চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আমেনা খাতুন (২৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে শ্বশুর বাড়ির নিজ কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আমেনা খাতুন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দুধ পুকুরিয়া পূর্ব পাহাড় গফুর বাদশার বাড়ির আবদুল গফুর ড্রাইভারের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আবদুল গফুর পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের পিতা মো. হাছি মিয়া বাদী হয়ে একইদিন রাতে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্বামী আবদুল গফুরকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী আমেনা বেগমের বড় বোনকে (৩০) গ্রেপ্তার করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, ২০১৫ সালে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের ছোট বারঘোনা এলাকার হাছি মিয়ার মেয়ে আমেনা খাতুনের সঙ্গে রাঙ্গুনিয়ার ট্রাক ড্রাইভার আবদুল গফুরের বিয়ে হয়। তাদের ৪ মাস বয়সী এক মেয়ে এবং ৪ ও ৭ বছর বয়সী দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। পাঁচ মাস আগে আবদুল গফুর গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন, যা নিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি শুরু হয়।
নিহতের মামা মো. জাফর অভিযোগ করে বলেন, “দ্বিতীয় স্ত্রী ফুসলিয়ে আমেনাকে ভাড়া বাসা থেকে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডে শ্বশুর বাড়ির সবাই জড়িত।” তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সুজাউদ্দৌলা বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমেনাকে বিছানায় শোয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। কোনো দৃশ্যমান আলামত না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।”
তিনি আরও জানান, “থানায় হত্যা মামলা নেওয়া হয়েছে এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।”