বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে মামলা করেছেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার।
রবিবার (২৩ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আদালতে এ মামলা করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী ২৮ এপ্রিল আসামিদের হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন—ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম ও আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত আসাদুজ্জামান আসাদ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ মাহবুব মোর্শেদ তার ফেসবুক আইডিতে একটি মনগড়া কবিতা পোস্ট করেন এবং সেটিকে কবি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের লেখা বলে উল্লেখ করেন। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা ছিল, “বাংলাদেশের এক কবি কীভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে অবমাননা করেছেন, তা পড়ে দেখার অনুরোধ জানাই। মন থেকে এত ঘৃণা পোষণ করার পরও এমন কবিরা বিএনপির সুবিধাভোগী হয়ে থাকতে চান।”
এর আগে, গত ১৬ জানুয়ারি খাইরুল আলম তার ফেসবুক আইডি থেকে একই কবিতা পোস্ট করেন এবং লেখেন, “শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা কবিতাটি তিনি (আব্দুল হাই শিকদার) এরশাদকে উপহার দিয়েছিলেন। সাইফুল আলমকে সরিয়ে এখন তিনি যুগান্তর সম্পাদক। সাংবাদিকরাই কালে কালে শক্তিশালী হয়েছে, আবারও প্রমাণিত সত্য! #জয়তু-সাংবাদিকতা”
একই কবিতা পোস্ট করেন আসাদুজ্জামান আসাদও। তিনি লেখেন, “আমাদের জাতীয়তাবাদী প্রাণপ্রিয় কবি ও নেতা, বর্তমান যুগান্তর সম্পাদক জনাব আব্দুল হাই শিকদার ভাইয়ের লেখা কবিতাটি আমার মেসেঞ্জারে পেয়েছি। জাতীয়তাবাদী এক সহকর্মী এটি আমাকে দিয়েছেন। আমি কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি পোস্ট করলাম। কবিতাটি স্বৈরাচার এরশাদকে দেওয়া হয়েছিল।”
মামলার বাদী আবদুল হাই শিকদার বলেন, “আমি সবসময় নিরপেক্ষ ও পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করেছি। আসামিরা আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য ফেসবুকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন পোস্ট দিয়েছেন। ওই কবিতার লেখক আমি নই। এমন নিম্নমানের কবিতা আমি কখনো লিখিনি। এ কারণে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি এবং ন্যায়বিচার চাইছি।”
অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিদের পোস্টগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এগুলোর মাধ্যমে বাদীর ব্যক্তিগত ও সামাজিক মর্যাদাহানি করা হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী ২৮ এপ্রিল আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।