নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি) এর কাছে মো:ফরিদ হোসেনের বেতন ও গ্র্যাচুইটির পাওনা টাকা ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলা তুরস্কের সাবেক রাষ্ট্রদূত জনক মসয়ূদ মান্নান এর স্বেচ্ছাচারিতার কারণে না পাওয়ায় এবং বর্তমান কর্মকর্তা কর্মচারীদের ১৮-১৯ মাসের বেতনের দাবিতে সাবেক এফপিএবি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৬ই জুন থেকে আমরণ অনশন করছেন।
এসময় পায়রা নিউজকে তিনি জানান,
আমি দীর্ঘ ৪০ বছর এফপিএবি, জামালপুর শাখায় এসিঃ সাপোর্ট পদে থেকে কাজের প্রতি নিষ্ঠা, বিশ্বস্ততার সহিত দায়িত্ব পালন শেষে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ অবসরে যাই। যাওয়ার পর থেকে এফপিএবি, ২ নয়া পল্টনস্থ হেড অফিসে বার বার ঘুরাফিরা করে আংশিক টাকা হাতে পাই যাহা আমার পূর্বের ঋণ, সাংসারিক খরচেই শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে গত জানুয়ারী মাসে আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে এবং ঢাকায় বেশ ক’জন ডাক্তার দেখালে, পরীক্ষা, নিরীক্ষার পর সকল ডাক্তার মত দেয় আমার হার্টের অবস্থা ভাল না, জরুরী ভিত্তিতে ২ টি রিং এবং প্রেস মেকার লাগাতে হবে। এছাড়াও, আমার ডায়াবেটিস্, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনীর সমস্যাও প্রকট হয়ে পড়েছে। অতঃপর আমার চিকিৎসায় ঔষধ বাবদ প্রতিদিন ৫৬৫/- টাকা লাগে। আমি অত্যন্ত গরীব একজন মানুষ। আমার সন্তানেরাও সীমিত আয় করে থাকেন, তাদের পক্ষেও আমার চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব নয়। আর তাই বার বার ২ নয়া পল্টনস্থ হেড অফিসে গিয়ে আমার অবসর জনিত সম্পূর্ণ পাওনা টাকা ফেরত না পাওয়ায় আপনাদের দারস্থ হয়েছি। আমি জানি আপনারা মানবিক, মানবতার কথা বলেন। আমি জানি আপনাদের কলম লেখনি তলোয়ারের চেয়েও শাণিত বেশী। আমার জীবন আজ কঠিন সংকটে।
আমার প্রাপ্য অবসর জনিত পাওনা টাকা আমার অধিকার, কিন্তু উক্ত অফিসের কতিপয় ব্যক্তিদের মিথ্যা আশ্বাস, বার বার অপমান হওয়াটা আমার জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলেছে। শেষ পর্যায়ে আমার এই সিদ্ধান্ত- আমরণ অনশন এবং পরবর্তীতে গায়ে কেরসিন ঢেলে আত্মাহুতির সিদ্ধান্ত ছাড়া কোন উপায় দেখছি না।
সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা- এফপিএবি, বাংলাদেশের একটি পুরাতন সংস্থা, এ সংস্থায় সরাদেশে শত শত লোক আজ কতিপয় ব্যক্তিদের কাছে জিম্মি। তাঁরা ১৮/১৯ মাস যাবৎ বেতন না পেয়ে মানবতার কঠিন শৃঙ্খলে বাঁধা পড়েছে। আপনাদের তথ্য অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়ে এই সংস্থাকে রাহু মুক্ত করুন। আল্লাহ্ আপনাদের সহায় হোক।