মেহেদী হাসান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দুমকীতে পায়রা নদীর শাখা লেবুখালীর ভাড়ানি খালের পূর্ব পাড়ে ভাঙন রক্ষা প্রকল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জিও ব্যাগের কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এতে ওই খাল পাড়ের এলজিআরডি’র প্রায় ২ কোটি টাকা প্রকল্পের আরসিসি ঢালাইয়ের রাস্তাটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী।
পাউবো সূত্রে জানা যায়, পায়রা নদীর ভাঙন থেকে দুমকী উপজেলার লেবুখালির ভাড়ানি খালের পূর্ব পাড় রক্ষায় প্রায় ৮ মাস আগে প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় পাউবো। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ১কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত প্রকল্পের মাত্র ৩৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে ঠিকাদার সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে সরেজমিনে ভাঙ্গনি এলাকায় গেলে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম মাস্টারসহ অনেকেই বিষয়টিকে ভয়াবহ উল্লেখ করে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কয়েকটি জিও ব্যাগ ফেলে চলে যায়। দীর্ঘদিন ধরে তাদের আর কোন খোঁজ খবর নেই। এতে রাস্তাটি মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে ওই এলাকার লোকজন, বসত বাড়ি, বিদ্যুৎতের খুঁটি, ভূমি অফিস, লেবুখালি বাজারগামী, পথচারীসহ বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ক্ষতির মুখে পড়বে বলে তারা জানান।
এব্যাপারে লেবুখালি ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম তুহিন বলেন, ঠিকাদারের গাফেলতির কারণে কাজটি এখনও সমাপ্ত হয়নি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানাচ্ছি যাতে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন হয়।
রাস্তাটি রক্ষনাবেক্ষনের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাদ জগলুল ফারুক বলেন, আমাদের রিভার ট্রেনিং (নদী শাসন) কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস এন্ড ব্রাদার্সের সত্ত্বাধিকারী মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১৮ হাজার জিও ব্যাগ ফেলে কাজ বন্ধ রাখা হয়। বাকি ৩৪ হাজার ব্যাগ ফেলার জন্য কর্তৃপক্ষ টাকা-পয়সা দেয় না, ঠিকমত তহবিল দিলে যথা সময়েই কাজটা শেষ হত। তবে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে কাজটি এ সপ্তাহে আবার শুরু করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, গত ৮ জানুয়ারি ঠিকাদারকে তহবিল দেয়া হয়েছে। আশাকরি সামনের সপ্তাহে কাজটি পুনরায় ধরা হবে।