BMBF News

পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের কথিত ‘সালানা জলসা’ বন্ধসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের অমুসলিম ঘোষণার দাবী 

১০২
নিজস্ব প্রতিবেদক :

 

পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের কথিত ‘সালানা জলসা’ বন্ধসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের অমুসলিম ঘোষণার দাবী করেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি

 

আজ (২০ জানুয়ারি, ২০২৪) শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি সভা এবং প্রতিনিধি সম্মেলনে পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের সালানা জলসা বন্ধসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের অমুসলিম ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে বলেন,’আহমদীয়া মুসলিম জামাত’ নামধারী কাদিয়ানীরা আগামী ২৩,২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড়ে সালানা জলসার নামে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের মঞ্চ প্রস্তুত করেছে।
সরকার ইতিমধ্যে আমাদের সাথে ওয়াদা করেছিল, তারা কাদিয়ানীদের এ ধরনের সম্মেলন করতে আর দিবে না। কিন্তু কাদিয়ানী সম্প্রদায় সম্মেলন করার জন্য তৈরি করছে। আমি সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে এই সম্মেলন বন্ধ করতে হবে।
মুসলমানের দেশে কাফের কাদিয়ানীদেরকে আর ইসলাম ধর্ম নিয়ে খেলা করতে দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যেই তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মসজিদ নামে তাদের উপাসনালয় গড়ে তুলেছে। এবং সেখানে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। সভাপতির বক্তব্যে পীর সাহেব মধুপুর আরো বলেন, সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন জাতি ধর্মের মানুষ এদেশে একসাথে বসবাস করে। বাংলাদেশের ৯০% নাগরিক ইসলাম ধর্মের অনুসারী-মুসলিম। সকল ধর্মের অনুসারীগণ স্বাধীনভাবে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। বাংলাদেশের মহান সংবিধানেও ধর্মীয় স্বাধীনতা সংরক্ষণের কথা সুস্পষ্টভাবে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা মুসলমান। আমাদের বিশ্বাস হলো হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল। তারপরে নতুন করে কেউ নবী রাসুল হিসেবে আগমণ করবে না। এটা কুরআন-সুন্নাহ ইজমা-কিয়াসের সর্বসম্মত বক্তব্য। উপরোক্ত বিষয়টি দ্বীন ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস। যা অস্বীকার করলে কিংবা সন্দেহ পোষণ করলে ঈমান থাকে না। অথচ তথাকথিত ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত’ নামধারী কাদিয়ানীরা নিজেদের মুসলিম দাবি করলেও উল্লেখিত বিশ্বাসটি অস্বীকার করে। যার ফলে তারা মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস থেকে বের হয়ে যায়। তাদের নতুন এক ধর্ম বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটা হল কাদিয়ানী ধর্মমত।
তাদের অসংখ্য কুফুরী মতবাদ এর মধ্যে একটি মতবাদ হলো এই, ‘মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী প্রতিশ্রুত মাসীহ, ইমাম মাহদী এবং প্রেরিত নবী ও রসূল’ (নাউজুবিল্লাহ ) (রুহানী খাযায়েন-খ:১৮ পৃ:২০৭, কালিমাতুল ফসল-১৫, লেখক: মির্জাপুত্র বশির আহমদ এম এ, আখবারে বদর আল:২ পৃ:৪৩)
এসকল অসংখ্য কুফুরী মতবাদ প্রচার করে তারা মুসলমানদের ঈমান ধ্বংস করছে।
সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ও জেলা প্রতিনিধিরা বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে এবং ইসলামের নামে তাদের সকল প্রকাশনা প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ করতে হবে, ইসলামী পরিভাষা ব্যবহার করা অমুসলিমদের জন্য সম্পূর্ণ অবৈধ। অতএব ইসলামের সকল পরিভাষা যেমন কালিমা, নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, মসজিদ, আজান, ইকামত, নবী, মাহদী শব্দ ইত্যাদি তাদের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।
তারা আরো বলেন, কাদিয়ানীরা পঞ্চগড়ে শত শত একর জমি ক্রয় করে য়ড়যন্ত্রের জাল বিস্তৃত করছ এমনকি তারা সালানা জলসার নামে সাধারণ মুসলমানদের ঈমানহারা করার পায়তারা করছে। আমরা সরকারকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
সম্মেলনে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় এবং জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল আউয়াল নারায়ণগঞ্জ, মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা এমদাদুল হক শায়খে বালিয়া, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা আব্দুল লতিফ ফারুকী, মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী নাজিরহাট, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা বশির আহমদ, মুফতি নেছার আহমদ, হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী, মাওলানা নুরুল হক হামিদী, মুফতি মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, মাওলানা মাহমুদুল আলম পঞ্চগড়
মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান মুমতাজী, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা ইমদাদুল ইসলাম (গেন্ডারিয়া) মাওলানা আতাউল্লাহ বুখারী পীর সাহেব পাঙ্গাসিয়া,মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ইমাদুদ্দীন
যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা উবায়দুল্লাহ কাসেমী, মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী,
মাওলানা আবুল কাশেম আশরাফী, মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরী, মাওলানা হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আলী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, মুফতি আবুল হাসান, হাফেজ মাওলানা আহমদ উল্লাহ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ,
দফতর সম্পাদক মাওলানা আবু ইউসুফ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ নোমানী, মুফতি মনিরুজ্জামান মাহমুদী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকারিয়া মোল্লা, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক মুফতি হেলাল আমীন, মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুফতি আবদুল গাফফার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন, আলহাজ্ব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ সভাপতি মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ হামিদী, সেক্রেটারি মাওলানা শফিক সাদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হামিদী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সানাউল্লাহ খান, প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমাদ উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মুফতি জাকির কাসেমী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আনোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল বারাকাত,ঢাকা জেলা উত্তরের সহ সভাপতি মুফতি আলী আশরাফ তৈয়ব,
কদমতলী থানা সভাপতি মাওলানা মুর্শিদুল আলম, সেক্রেটারি হাফিজ আহমদ আমিনী,
শ্যামপুর থানা সেক্রেটারি মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন,
মুফতি আসাদুল্লাহ জাকির
সাভার থানা সেক্রেটারি মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী,মানিকগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুফতি দীন মোহাম্মদ (পীর সাহেব জায়গীর) পটুয়াখালী জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল হক কাওসারী,
সিলেট জেলা সেক্রেটারি সৈয়দ সালিম কাসেমী, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আবু সালেস সাদী, সেক্রেটারি মাওলানা জাবের আল হুদা চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা রশিদুর রহমান ফারুক বর্ণভী (পীর সাহেব বরুণা)সেক্রেটারি মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল বাছির, সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব, পিরোজপুর জেলা সভাপতি মাওলানা জাকির হোসেন, সেক্রেটারি মাওলানা ফেরদাউস আহমাদ, মুফতি মাহবুবুর রহমান জিয়া (মুন্সিগঞ্জ)
মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক (সিরাজগঞ্জ) প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ নিম্নলিখিত কর্মসূচি ঘোষণা করছে।

কর্মসূচি:
১. সারাদেশে একই সময় ‘ঈমান বাচাঁও লিফলেট’ বিতরণ।
২. জেলাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
৩. কাদিয়ানী ধর্ম কর্তৃক আক্রান্ত জেলাগুলোতে২৫ দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা।
৪. প্রত্যেক জেলার জনপ্রতিনিধিদের সাথে আকীদায়ে খতমে নবুওয়াত নিয়ে মতবিনিময়।
৫. দেশের প্রত্যেক জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের খতমে নবুওয়াত ফাইল প্রদান।
৬. জেলাভিত্তিক ডিসি বরারব স্মারকলিপি প্রদান।
৭. জেলা ও বিভাগওয়ারী সম্মেলন।
৮.সারাদেশে একই সময়ে মানববন্ধন কর্মসূচি।
৯. ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ।